নিজস্ব প্রতিনিধি, মিরসরাই »
মিরসরাইয়ে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ অবৈধ গর্জনের গোল কাঠসহ একটি ট্রাক আটক করেছে করেরহাট বিটের সহকারী বন সংরক্ষক শেখ মাহাবুব হাসান।
রবিবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্টেশন অফিসার ও সহকর্মীদের নিয়ে করেরহাট বিটের চেক পোস্টে কাঠ বোঝাই (ফেনী-ট- ১১-০৪৭৮) ট্রাকটি পার হওয়ার সময় উক্ত কাঠের চালানটি আটক করা হয়। এ সময় গাড়িতে থাকা লোকজন কাঠগুলো বৈধ বলে জানালে এসিএফ কাজগপত্র দেখতে চান।
এ সময় তারা নারায়ণহাট বিটের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ইলিছুর রহমানের ২৮ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত একটি পরিবহন অনুমতির (টিবি) কাগজ দেখান। যাতে উল্লেখ ছিলো গর্জন কাঠ মোট ৫৫ টুকরায় ৩শত ৭৩. ৮০ ঘনফুট। তবে প্রদানকৃত কাগজের সাথে ট্রাকে থাকা গাছের কোন প্রকার মিল খুঁজে না পেয়ে তিনি কাঠসহ ট্রাকটি আটক করেন। এদিকে গতকাল রোববার দুপুরে তার কার্যালয়ের সামনে বন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কাঠগুলো খালাস করে জব্দ তালিকা করেন।
গাছের সাথে থাকা বন বিভাগের পরিবহন অনুমতি পত্রের (টিবি) দ্বারা জানা যায়, গাছের মালিক ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার ইদিলপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. সেলিম উদ্দিন। এদিকে কাঠের টুকরোগুলোর পরিমাণ নির্ধারণ না হওয়ায় সঠিকভাবে বলা যাচ্ছেনা কত ঘনফুট কাঠ রয়েছে। তবে ধারণা করা যাচ্ছে ৫শ থেকে ৬শ ঘনফুট কাঠ হতে পারে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে করেরহাট বিটের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমি সহকর্মীদের নিয়ে গাছগুলো আটক করি। গাছের সাথে প্রদানকৃত টিবির কোন মিল খুঁজে পাইনি। প্রাথমিকভাবে কাঠগুলো অবৈধ বলে প্রতীয়মান হওয়ায় সেগুলো জব্দ করেছি। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে পিআরও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণহাট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ইলিছুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে তারা যতটুকু কাঠ লোড দিয়েছে সে অনুযায়ী টিবি দেওয়া হয়েছে। পথিমধ্যে তারা যদি আরো কাঠ লোড দেয় তাতো আমি দেখতে পাবো না। টিবির বাইরে কোন কাঠ থাকলে সেটা অবৈধ হিসেবে জব্দমূলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আটককারী কর্মকর্তা।