নিজস্ব প্রতিনিধি, মিরসরাই »
মিরসরাই ট্র্যাজেডির সেই হৃদয়স্পর্শী ঘটনার ১২তম বর্ষপূর্তি আজ। ঘটনার ১২ বছর হয়ে গেলেও সেসব স্মৃতি মুছে যায়নি। আবুতোরাবের ১১ গ্রামের শোকার্ত মানুষের কান্নায় সেদিন মিরসরাইয়ে নেমে এসেছিলো এক কালো অধ্যায়। সে দিন পিতার কাঁধে উঠেছিল পুত্রের লাশ। পুত্রের মৃত্যু ভেবে স্ট্রোক করে মারা গিয়েছিলেন পিতা। যদিও ওই পুত্র সন্ধ্যায় ফিরে এসেছিলো বাড়িতে। মাসখানেক আগে মারা যায় মিরসরাই ট্র্যাজেডির আলোচিত পিক-আপ চালক মফিজ উদ্দিন।
উপজেলার মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির নিজামী জানান, মিরসরাই ট্র্যাজেডির কর্মসূচি মধ্যে রয়েছে সকালে নিহতের স্মরণে স্ব স্ব ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রার্থনা, পরে নিহত ছাত্রদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ ও ‘অন্তিম’ এর স্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
সেদিন যা ঘটেছিল ১১ জুলাই ২০১১, সোমবার : মিরসরাই স্টেডিয়াম থেকে ফুটবল ফাইনাল খেলা শেষে একটি মিনি ট্রাকে করে বিজয়ী এবং বিজিত উভয় দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকরা আবুতোরাব এলাকায় যাচ্ছিল। বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ডোবায় উল্টে যায় মিনিট্রাকটি। ডোবার জল থেকে একে একে উঠে আসে লাশ আর লাশ। ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর রাত ৯ টায় নয়নশীলের প্রয়ান পর্যন্ত ৪৫ টি মৃত্যু গুনতে হয়। সব মিলিয়ে ৪৫ জনের প্রাণের বিনিময়ে রচিত হয় মিরসরাই ট্র্যাজেডি।
সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নিহত হয় আবুতোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের। ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৪ শিক্ষার্থী সেদিন প্রাণ হারায়।