নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
কক্সবাজারের টেকনাফ নাফনদীর সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারের চলমান যুদ্ধের কারণে রাখাইনে আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। পাশাপাশি গোলার বিকট শব্দও শুনেছে সীমান্তের বাসিন্দারা। এতে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশংঙ্কায় নাফনদীর পাশাপাশি উপকূল এলাকায়ও টহল জোরদার করেছে বিজিবি।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়াসহ তিনটি জায়গায় ওপারে আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া উড়তে দেখেছেন সীমান্তের বাসিন্দারা।
টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়া নাফনদীর সীমান্তের বাসিন্দারা মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, সোমবার সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়া, কেরুনতলী পূর্বে নাফনদীর ওপারে রাখাইনে মংডুর পেরাংফুরে আগুনের ধোঁয়া দেখা যায়। এছাড়া ৫ জানুয়ারি দুপুরে বরইতলী এলাকায় ওপারে ব্যাপক গোলাগুলি শব্দও পাওয়া গেছে। তবে আগের তুলনায় গুলি বর্ষণের শব্দ কমলেও কমেনি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকার জহির উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে ওপারে আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। তবে ঠিক ওপারে এখন কি হচ্ছে-এপার থেকে বলা মুশকিল।
এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক আহমেদ জানান, নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় সীমান্ত এলাকায় আমাদের টহল জোরদার রয়েছে। আমাদের কাছেও খবর রয়েছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে পারে। কিন্তু আমরা নতুন করে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না। বিশেষ করে বিজিবির তৎপরতার কারণে নাফনদীর সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধ রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে গভীর সাগরপথে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে থাকে। আমরা সেখানেও তাদের প্রতিহত করছি। নতুন করে কেউ যাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে।
উল্লেখ্য, সাগরে চারদিন ভাসমানের পর রোববার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সৈকত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেন মো. নাছির। তিনি মিয়ানমারের আকিয়াবের লম্বাদিয়ার বাসিন্দা।
তার ভাষ্য, সাগরে তিন দিন ভাসমান থাকার পর টেকনাফে সাগরে পাড়ে পৌছি। আমরা বোটে ৩৬ জন ছিলাম। সেখানে আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ঘিরে রেখেছে। কাউকে চলাফেরা করতে দিচ্ছে না। যার কারণে অনাহারে দিন কাটছে তাদের। ফলে মানুষ অভাবে যেদিকে পাচ্ছে-সেদিকে পালিয়ে যাচ্ছে।