সুপ্রভাত ডেস্ক »
আওয়ামী লীগের ব্যানারে সর্বশেষ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু গত আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তারও বেশ আগ থেকেই সাকিব ছিলেন দেশের বাইরে। দেশে না থাকলেও তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নাম জড়িয়েছে শেয়ার বাজার কারসাজিতেও। এতদিন মামলা নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। তবে বৃহস্পতিবার কানপুর টেস্টের আগের দিন মামলা নিয়ে কথা বলেছেন।
গত ৫ আগস্ট আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলামের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও অনেকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে সাকিবকে। মামলা নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া প্রশ্নে সাকিব বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘কঠিন অনেক কঠিন। আমি কীভাবে (ক্রিকেটে মনোযোগ) ধরে রাখছি এটা আল্লাহই জানে। আমি নিজেও জানি না। যেটা বললেন, একটা মামলা হয়েছে। সবারই অধিকার আছে। আপনারা সবাই জানেন এটা কেমন ধরনের মামলা বা তখন কোথায় ছিলাম বা আমার কাজ কী ছিল। এই বিষয়টা নিয়ে আসলে খুব বেশি কথা বলতে চাই না।’
মঙ্গলবার শেয়ার বাজার কারসাজির অভিযোগে সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই বিষয়টি নিয়েও সাকিব বলেছেন, ‘আরেকটা জিনিস যেটা সদ্য হয়েছে, জীবনে আমি আসলে কখনও নিজে থেকে ট্রেড করিনি। কেউ যদি বলে এই ট্রেড নিয়ে কথাও বলেছি, প্রমাণ দিলে আমি খুশি হবো। এগুলো আসলে যে কেউ যেকোনও কিছু করতেই পারে। তবে যদি একটু সুন্দর করে করতো, তাহলে মনে হয় ভালো হতো। আমার জন্য মেন্টালি একটু ভালো হতো।’
সাকিবের মতে, মিথ্যা অভিযোগ করা হলে সেটি দেশের জন্যই ভালো হবে না, ‘মিথ্যা অভিযোগগুলা আমার মনে হয় না এটা দেশের জন্য ভালো হবে। বিশেষ করে বাইরের দেশের মানুষ যখন আমাদের নিয়ে কথা বলবে, জিনিসগুলা খুব একটা ভালো হবে না। আমি যখন জীবনে কোনও ট্রেডই করিনি, নিজ থেকে যেই শব্দগুলাও ব্যবহার করেছে এটা আমার জন্য দুঃখজনক।’