মতবিনিময় সভা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, করোনা নিয়ে জনগণের অবহেলায় মৃত্যু ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত, বাজার, শপিংমল সবক্ষেত্রে জনগণের বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়া নিশ্চিত করতে হবে। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, বার বার সাবান পানিতে হাত ধোয়া ও প্রয়োজনে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করা ছাড়া আমাদের সামনে এখনো জনস্বাস্থ্য রক্ষার বিকল্প কোন পথ নেই।
তিনি গতকাল সকালে নগরীর বাটালী রোডস্থ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আবদুর রব, চট্টগ্রাম প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বিভাগীয় উপ পরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আহমেদ তানজিমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার মো. উমর ফারুক, চট্টগ্রাম পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ-পরিচালক ডা. উ খ্যে উইন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় তাদের জেলা কমিটির সার্বিক প্রস্তুতি আছে জানিয়ে জনগণকে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণা চালানোর ওপর জোর দেন।
তিনি অনেককে অবহেলায় মাস্ক পরিধান না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, জনগণের অবহেলা ও অসচেতনতার কারণে অক্টোবর থেকে করোনার সংক্রমন আবার বেড়ে গেছে। সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রথমে নগরবাসীকে মাস্ক ব্যবহারে সচেতন করতে প্রচার প্রচারণা চালাবো। এতে কাজ না হলে জরিমানা করার ব্যবস্থা।
তিনি নগরবাসীকে সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক-বীমা, আদালতে মাস্ক পরিধান ছাড়া প্রবেশ নিষেধের কথা মনে করিয়ে দেন। প্রশাসক সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ইউরোপ আমেরিকায় করোনার সংক্রমন বাড়ায় আবার লকডাউন দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জনবহুল এলাকা সিইপিজেড, বিমানবন্দর, রেল-বাস স্টেশনের চেকপোস্টে জোরদার তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি মাস্ক পরিধান শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি