নিজস্ব প্রতিবেদক »
এক মা তার ছেলেকে নিয়ে অক্সিজেন মোড় হয়ে যাচ্ছিলেন নিজ গন্তব্যে। এ সময় মায়ের মুখে মাস্ক থাকলেও ছিল না ছেলের মুখে। এ সময় তার সামনে এসে হাজির বিএনসিসি’র সদস্য তাহিয়াত তাসনিয়া। তিনি মায়ের কাছে ছেলেকে মাস্ক না পরার কারণ জানতে চান এবং পরে মুখে পরিয়ে দেন মাস্ক। একই জায়গার অন্য পাশে রেড ক্রিসেন্টের সদস্য রাকিবুল হাসান মাস্ক না পরা এক পথচারীকে বুঝাতে ব্যস্ত। পরে ওই পথচারী তার কথায় মাস্ক কিনে পরতে উদ্বুদ্ধ হন। আরেক সদস্য করপোরাল আদনান মোড়ে আসা-যাওয়া বিভিন্ন গাড়ির দিকে রেখেছেন তীক্ষè নজর। মাস্ক না পরা কাউকে দেখলেই মাস্ক পরার অনুরোধ করছেন আবার কাউকে ধমকও দিচ্ছিলেন। সুযোগ বুঝে উঠে পড়ছেন গণপরিবহনেও।
অক্সিজেন মোড় হয়ে শহরে প্রবেশ পথের সামনে বিএনসিসির ইনচার্জের দায়িত্ব পালনকারী সার্জেন্ট ফারজানা একটি প্রাইভাট কার থামিয়ে চালককে মাস্ক পরার অনুরোধ জানান। গণপরিবহনগুলোতে যাত্রী, চালক ও হেলপারদের মাস্ক পরায় সচেতন করতে দেখা যায় তাদের। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর অক্সিজেন মোড় চত্বরে মাস্ক পরাতে কর্ণফুলী রেজিমেন্ট বিএনসিসি ও রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম ইউনিট সদস্যদের এমন তৎপরতা চোখে পড়ল।
শুধু অক্সিজেন মোড় নয়, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল প্রায় ৪ টা পর্যন্ত চলে তাদের এমন তৎপরতা জানান কর্তব্যরতরা। এভাবে চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চবি ফরেস্ট্রি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী তাহিয়াত তাসনিয়া জানান, ‘এই প্রথম তিনি বিএনসিসির সদস্য হয়ে সচেতনতামূলক কাজে অংশ নিয়েছেন। এরকম সামাজিক কাজে অংশ নিয়ে ভালোই লাগছে তার।’
বিএনসিসি’র সার্জেন্ট ফারজানা বলেন, ‘অক্সিজেন মোড়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিএনসিসির ১০ জন ও রেডক্রিসেন্টের ৫ জনসহ মোট ১৫ জন সদস্য কাজ করেছেন।’
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘গত এক বছর ধরে রেডক্রিসেন্টে কাজ করছি। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এ কাজে অংশ নিয়েছি। মূলত মানুষকে মাস্ক পরাতে সচেতন করার চেষ্টা করছি।’ কর্ণফুলী রেজিমেন্ট বিএনসিসির ক্যাডেট আন্ডার অফিসার ইসমাইল আহমেদ তুষার বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীনেই মূলত আমরা কাজটি করছি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে কাজটি করা হচ্ছে। ৯ ডিসেম্বর থেকে কাজটি শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এমন উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরায় সচেতন করা। কোনো মানুষ যাতে মাস্ক ছাড়া চলাচল না করে। নো মাস্ক, নো এন্ট্রি এই লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়সমূহে আমাদের সমন্বিত তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।’
মহানগর