নিজস্ব প্রতিবেদক »
শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু পুননির্মাণের জটিলতা থেকে মুক্তি দিতে প্রয়াত সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ ফেরি চালু করার প্রস্তাব করেন। এ প্রস্তাবে সমর্থন দিয়ে সরকার সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ফেরি চালু করার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী দরপত্র প্রকাশিত হয়। নিয়োগ হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সবশেষে আনা হয় তিনটি ফেরি। আগামী মাসের প্রথমদিকে কর্ণফুলী নদীর দুইপাশ থেকে চলবে দুইটি ফেরি, আরেকটি রাখা হবে রিজার্ভে।
বুধবার দুপুরে ফেরিসহ কালুরঘাট সেতু পরিদর্শনে গিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ফেরি কার্যক্রম প্রসঙ্গে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আগামী মাসের প্রথমদিকে কালুরঘাটে ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এখানে তিনটি ফেরি রয়েছে। দুটি ফেরি নদীর দু’পাশ থেকে চলবে। একটি রিজার্ভ থাকবে। ফেরি সার্ভিস চালু হলে কালুরঘাট সেতুর উভয় পাশের যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
সেতুর কাজ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফেরি চালু হয়ে গেলে আমরা সেতুর কাজ ধরবো। সেতুটা শক্তিশালী করবো। এ ফেরি সার্ভিস নতুন সেতু পাওয়া পর্যন্ত চালু থাকবে। সেতু মেরামতের কাজটা শেষ হয়ে গেলে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এখন যে সেতুটি রয়েছে, সেটি দিয়েই কক্সবাজার রুটের ট্রেন চলাচল করতে পারবে।’
সেতুর নামকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নতুন যে সেতুটা হবে- সেটাতে আগে শুধু ট্রেন যাওয়ার কথা ছিল। পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গাড়ি ও ট্রেন একসঙ্গে যাবে। আগে ছিল সাড়ে ৭ মিটার। এখন সেটি ১২ মিটার উচ্চতায় হবে। আগে যে খরচ ছিল তার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি লাগবে এখন। তাই সেতুর কাজটা এ বছর হবে না। আগামী বছরের শুরুর দিকে কাজ আরম্ভ হবে। কক্সবাজার লাইনে যে ট্রেনগুলো চলবে সেগুলোর ইঞ্জিন ওজনে একটু বেশি হবে। তাই কালুরঘাট সেতুতে এলেই গতি কমিয়ে চলাচল করবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম ও সংস্থাটির প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী, সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা।
সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে কাজ শেষ করে প্রাথমিক প্রতিবেদন আমাদের কাছে দেয়া হয়েছে, সেটি আমরা দেখেছি। তাদের স্টাডি শেষ পর্যায়ে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিলেই আমরা কাজ শুরু করবো। পুরাতন কালুরঘাট সেতু মেরামত করে এই সেতুতেই কক্সবাজার রুটের ট্রেন চলবে।’