সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান মনে করেন, টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করার জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের যথেষ্ট শারীরিক ফিটনেস রয়েছে। তবে মানসিক ফিটনেসের দিক থেকে দেশের ক্রিকেটাররা পিছিয়ে থাকতে পারেন বলে তার ধারণা। খবর ডেইলি বাংলাদেশ’র
চলমান ঢাকা টেস্টে ব্যাট হাতে কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের দৃঢ়তায় মান বাঁচানোর পর দ্বিতীয় ইনিংসে টপ অর্ডারের ফের ব্যর্থতায় জেগেছে হারের শঙ্কা। অস্বীকার করার উপায় নেই- টেস্টে এমন পারফরম্যান্স বাংলাদেশের নিত্যদিনের চিত্র।
সাকিব মনে করেন, এক্ষেত্রে শারীরিক ফিটনেস কোনো বাধা নয়। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় আমরা টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে ফিট দল। কারণ আমরা বেশিরভাগ সময়ই সবচেয়ে বেশি ফিল্ডিং করি। শারীরিকভাবে আমরা ফিট, মানসিক সমস্যা হয়ত বেশি। যে জায়গা নিয়ে অনেক বেশি কাজ করার আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘শারীরিকভাবে আমরা অনেক বেশি ফিট। ৩ ইনিংসে ৪০০-৪৫০ ওভার ফিল্ডিং করেছি। লিটন সাড়ে ৪০০ ওভার কিপিং করে ১৪১ করেছে, মুশফিক ভাই ১৭৫ করেছে। ফিজিক্যালি সবাই ফিট, সমস্যা মানসিক। আমরা হয়ত ব্যর্থতার ভয় অনেক বেশি করি। উল্টো চিন্তা করলে ভালো কিছু আসতে পারে।’
করোনা থেকে সেরে ওঠে বলতে গেলে অনুশীলন না করেই চট্টগ্রাম টেস্ট খেলতে নেমে পড়েন সাকিব। এরপর ঢাকা টেস্টেও দারুণ পারফর্ম করছেন; লঙ্কানদের ইনিংসের ৫ উইকেট একাই শিকার করেছেন। সাকিব মনে করেন, ম্যাচ খেলার মত ফিটনেসের সাথে তথাকথিত ফিটনেসের তফাৎ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে সে নিজেকে কোন জিনিসটাতে ফিট মনে করে। ম্যাচ খেলার মত ফিটনেস আর ফিজিক্যাল ফিটনেসে ভিন্ন আছে। অনেক ফাস্ট বোলার ম্যাচে অনেক সুন্দর করে বল করতে পারে। কিন্তু বিপ টেস্টে ১০ নম্বর অতিক্রম করতে পারে না। অনেকে বিপ টেস্টে ১২-১৩ রেখেও ৫ ওভারও বল করতে পারে না। ফিটনেসের সংজ্ঞা একেক সময় একেক রকম। ম্যাচ ফিটনেস আর ফিজিক্যাল ফিটনেস ভিন্ন জিনিস।’ টাইগার অলরাউন্ডার যোগ করেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে চারটা ম্যাচ প্রচ- গরমের মধ্যে খেলেছিলাম। এই জিনিসটা আমাকে সহায়তা করেছে। আর আমি জানতাম চট্টগ্রামে প্রথম দুই দিন আমার জন্য কষ্টকর হবে, এরপর আস্তে আস্তে সহজ হয়ে যাবে। একটু চান্স নেওয়া বলতে পারেন। তবে ক্যালকুলেটিভ চান্স।’