নিজস্ব প্রতিনিধি, মহেশখালী :
মহেশখালীতে একদিনেই চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো সাগর থেকে ভেসে এসেছে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস জানান, ২০ সেপ্টেম্বর বাঁকখালী মোহনায় ফিশিংবোটের ধাক্কায় ঘামবোট থেকে পড়ে নিখোঁজ তোফাইল মাহামুদ (২২) এর লাশ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সোনাদিয়ার মগচর থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের সিপাহীর পাড়া গ্রামের নাগু মিয়ার পুত্র ও চট্টগ্রাম কলেজের অনার্সের ছাত্র। তার লাশটি বিবর্ণ হয়ে গেছে। হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। লাশটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মহেশখালীর ছোটমহেশখালীর মুদির ছড়ার প্যারাবন থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ করেছে থানা পুলিশ। প্যারাবনে একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে উদ্ধারের জন্য একদল পুলিশ পাঠানো হয়। লাশটির বয়স আনুমানিক ৪৩-৪৫ বছর হতে পারে। তার পরনে হাফ প্যান্ট ও গায়ে ফুলহাতা একটি গেঞ্জি রয়েছে। তাতে মনে হচ্ছে লাশটি কোনো জেলের হবে। লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া গোরকঘাটা চরপাড়ার খেয়াবাগান থেকে উদ্ধার করা হয় দেলোয়ার হোসেন নামের এক কিশোরের লাশ। বিকালের দিকে একদল পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে লাশটি উদ্ধার করেন। পরে তার পরিচয় সনাক্ত হয়। সে কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর ছনখোলার মৃত নুরুল আমিনের পুত্র। দুয়েক’দিন আগে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছিলো। খবর পেয়ে তার স্বজনেরা আসলে লাশটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভোরে উপজেলার গোরকঘাটা বাবু দিঘিতে গোসল করতে নেমে মারা যান পৌরসভার বলরাম পাড়া মনমোহনের স্ত্রী আলো রাণী। তিনি অসুস্থ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থতার কারণে গোসল করতে নেমে তিনি মারা যান। পুলিশের একটি দল লাশটি উদ্ধার করে স্বজনের কাছে দিয়ে দেন।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস বলেন, লাশগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং একজনকে মর্গে পাঠানো হয়েছে।