প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী পালন
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন এবং বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এই পুষ্পমাল্য অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর এ কে এম তফজল হক, চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও উপাচার্যের উপদেষ্টা মো. আবু তাহের, রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন এম. মঈনুল হক, স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর সোহেল এম. শাকুর, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার মনির, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিক ও ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খান।
এ সময় প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, ‘এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন মূলত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তিনি ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা-উত্তর-কালেও তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর রাজনৈতিক-কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিই করে গেছেন।
প্রফেসর ড. অনুপম সেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোকপাত করে বলেন, মানুষকে বড়ো হওয়ার জন্য মনের দারিদ্র দূর করতে হয়। এই দারিদ্র মানে মনের অন্ধকার। শিক্ষার মাধ্যমে এই অন্ধকার দূরীভূত করা সম্ভব। মানবতাবাদী রাজনৈতিক নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এ কারণে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রফেসর ড. অনুপম সেন আরো বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অন্যতম।
তিনি গভীরভাবে দেশকে ভালবাসতেন, ভালবাসতেন এই চট্টগ্রামকে, চট্টগ্রামের মানুষকে। তিনি আমৃত্যু চট্টগ্রামের কল্যাণের কথা, উন্নয়নের কথা চিন্তা করেছেন।
এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার পরে নগরীর জিইসি মোড়ে ইউনিভার্সিটির কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় খতমে কোরান, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন ও মাওলানা বোরহান উদ্দিন হোসাইনি। বিজ্ঞপ্তি