সুপ্রভাত ডেস্ক »
সকালে ভেজা আউটফিল্ড, বিকালে আলো-আঁধারের খেলা, মাঝে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ব্যাটে-বলের লড়াই। প্রথম দিন টপাটপ উইকেট পড়া দেখে ধরেই নেওয়া হয়েছিল, তিন দিনে শেষ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের ঢাকা টেস্ট! কিন্তু বিরূপ প্রকৃতি তা হতে দিলো না। তবে প্রত্যাশিতভাবে বোলারদের দাপট চলতে থাকলো, মাঝে দুর্গম পিচে সংগ্রামী এক যুবকের মতো ফিফটি করে বিপ্লব ঘটিয়ে ফেললেন গ্লেন ফিলিপস। খবর বাংলাট্রিবিউন।
বৃষ্টি আর আঁধারের খেলায় দিন শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে ৩০ রানে। ক্রিজে আছেন মুমিনুল হক ও জাকির হাসান। এরই মধ্যে মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ওপেনিংয়ে নামা জাকির অভিজ্ঞ মুমিনুলকে নিয়ে কতদূর যেতে পারেন, সেটাই নতুন সকালে দেখার অপেক্ষা।
দুই দিনে মাত্র ৩২ ওভারেরও কম খেলা হয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশের স্পিনাররা প্রথম দিনের মতো জাদু দেখাতে পারেননি। বিশেষ করে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ শুরুতে ছিলেন নিষ্প্রভ। নাঈম হাসান বল হাতে নিয়ে জোড়া আঘাত হানেন। ৯৭ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু উল্টো চোখ রাঙানি দেখালেন কাইল জেমিসন ও ফিলিপস। তাদের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি বাংলাদেশের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। স্পিনে সুবিধা না পাওয়ায় শান্ত বল তুলে দেন পেসার শরিফুল ইসলামের হাতে। স্পিনস্বর্গে এই গতির তারকা দুজনকে ফিরিয়ে দেন। অবশ্য ফিলিপস মারকুটে ব্যাটিংয়ে ঠিক লিড এনে দেন। তারপরই তার বিদায়। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিলেন।
নিউজিল্যান্ডের লিডে হতাশ হলেও স্বাগতিকদের স্বস্তির ব্যাপার হলো, ফিলিপসকে সেঞ্চুরি করতে দেয়নি। কিন্তু তার ৮৩ রান ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয় কি না সেটাও ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে। ম্যাচের ফল বের হবে নিশ্চিত, তবে সফল হতে ফিলিপসকে ছাপিয়ে যেতে হবে মুমিনুল-মুশফিকদের। বৃষ্টিতে মলিন দিন শেষে নতুন সকাল রাঙানোর অপেক্ষায় বাংলাদেশ।