নিজস্ব প্রতিবেদক »
ক্ষতিকর রং ও কাঠের গুঁড়োর সাথে খাওয়ার অনুপযোগী মরিচ ও হলুদ মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে ভেজাল মরিচ-হলুদের গুঁড়ো।
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর চাক্তাই এলাকার কোরবানিগঞ্জের মিয়াখান নগর ব্রিজের পাশে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা খুঁজে পান জেলা প্রশাসন।
এ অভিযানে রঙ ও কাঠের গুড়া মেশানো ৯০০ কেজি ভেজাল মসলা জব্দ করেন প্রশাসন। পরবর্তীতে এসব মসলা খালে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১ লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি জড়িত কারখানার মালিক বাচ্চু মিয়াসহ চারজনকে হাতেনাতে আটক করেন জেলা প্রশাসন ও কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
জেলা প্রশাসন এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এবং কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম ওবায়দুল হক এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কোরবানিগঞ্জের খালের পাড়ে গড়ে উঠা খাজা ফ্লোর মিল নামে এ কারখানায় বানানো হতো ভেজাল মসলার গুড়ো। বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে এসব গুড়োতে মেশানো হতো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রঙ, কয়লা, কাঠের গুড়া এবং অত্যন্ত নিম্নমানের ভুষি।
প্রশাসনের নজরদারি এড়াতে খালের পাড়ের ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ের পাশের স্থানকেই নিরাপদ স্থান হিসেবে বেঁচে নিয়েছিলো এ কারখানার মালিক বাচ্চু মিয়া।
অভিযানের বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রতি বছরই পবিত্র রমজান মাসে অধিক মুনাফা লাভের আশায় বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে ভেজাল মসলা উৎপাদন ও বাজারজাত করেন। এ বছর রমজানে চট্টগ্রামে যেন এরকম ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও বাজারজাত না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।’
মরিচ ও হলুদের গুঁড়োতে ক্ষতিকর রং, কাঠের গুঁড়ো
কোরবানিগঞ্জে জেলা প্রশাসনের অভিযান