বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খোরশেদ আলম সুজন
মনের মলিনতা ও কালিমা মুছতে পারলে সমাজ, প্রকৃতি, পরিবেশ শুদ্ধ হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনে যে পরিবর্তন এসেছে তার প্রধান কারিগর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আমি তাদের সাধুবাদ জানাই।
তিনি গতকাল সকালে আন্দরকিল্লা সিটি করপোরেশনের পুরোনো নগর ভবনের কে.বি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়া বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি কর্মে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। এই শহরে আমার জন্ম, এই শহরে বেড়ে ওঠা। ছাত্র জীবনে রাজনীতির হাতেখড়ি নিয়ে রাজপথকে আমার ঠিকানা বানিয়েছি। এখান থেকে চট্টগ্রাম নগরকে নিয়ে আমার স্বপ্ন দেখা। আমি অনুধাবন করেছি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে অনেক মেধাবী কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। তাঁদের ঠিকমত ফিডব্যাক দিলে অনেক সফলতার দুয়ার তারাই খুলে দিতে পারেন এবং ইতোমধ্যে দিয়েছেনও। আমার দায়িত্ব অল্প সময়ের জন্য হলেও যারা নগরকে পরিচ্ছন্ন করেছেন তা দৃশ্যমান।
তিনি আরো বলেন, চসিকের শিক্ষাখাত নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ভর্তুকির ভার কমাতে হবে। প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা খাত রেখে বাড়তি বোঝা ছেড়ে দেয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ দিন চাকরি করে অবসর নেয়ার পর আনুতোষিক না পাওয়া দুঃখজনক। আমি দায়িত্ব নিয়ে ইতোমধ্যে কিছু আনুতোষিক পাওনা পরিশোধ করেছি। আশাকরি এধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি জ্যোৎস্না উৎসবের মত একটি ব্যতিক্রম অনুষ্ঠান নগরবাসীর সামনে উপস্থাপন করে দেশে বিদেশে অনেকের সাড়া এবং উৎসাহ পেয়েছেন বলে মত ব্যক্ত করেন।
তিনি আরো জানান, দায়িত্বে না থাকলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আমার দুয়ার সব সময় খোলা থাকবে।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মীর্জা ফজলুল কাদের, কুলগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক খান, কাট্টলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, সার্কেল-৫ এর টিও এ কে এম সালাউদ্দীন, ইউএনডিপির টাউন ম্যানেজার মো. সরোয়ার হোসেন খান, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, চসিক সিবিএ সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, খুব কম সময়ে বিদায়ী প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এমন কিছু কাজ করেছেন যাতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্ম ও প্রাণের সঞ্জীবনী শক্তি পেয়েছে। এই শক্তিকে আমরা ধারন করতে চাই। বিজ্ঞপ্তি