চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ এবং সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলন লড়াই সংগ্রামে সাংস্কৃতিক ফ্রন্ট রাজনৈতিক নেতৃত্বের সহায়ক শক্তি হিসেবে ভ্যানগার্ড বা অগ্রবর্তী বাহিনীর ভূমিকা পালন করে ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। তাঁদের সৃজনকর্ম ও সংস্কৃতি চর্চা সমাজ প্রগতির ইতিবাচক ধারাকে প্রবাহমান ও উজ্জীবিত রাখলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এদের জীবন জীবিকার স্বাচ্ছন্দ্য এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থানের ভিত্তি খুবই দুর্বল। তিনি আরো বলেন, করোনাকালে দেখা গেছে বিগত ৪/৫ মাসে বৈশ্বিক অবনতিশীল পরিস্থিতিতে সমাজের একটি অংশের জীবনমান নিন্ম ও প্রান্তিক স্তরে নেমে গেছে। সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় কালাতিপাত করছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিল্পী, কলাকুশলী, কর্মী ও সংগঠকরা। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক হিসেবে মনে করি, তাঁদের প্রতি সমাজের দায়বদ্ধতার তাগিদ আজ সময়ের দাবি।
গতকাল সকালে বহদ্দারহাটস্থ তাঁর বাসভবন প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অসচ্ছল শিল্পী ও কলাকুশলীদের প্রণোদনা ও সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিল্পী ও কলাকুশলীদের স্থায়ী সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তার দিকটি আমাদেরই ভাবতে হবে এবং টেকসই উপায় অন্বেষণ করতে হবে। এ ব্যাপারে যা কিছু করার দরকার, তা অবশ্যই আমি করব।
সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য সচিব সাহাবউদ্দিন মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সন্দীপনা সাংস্কৃতিক ফোরামের পরিচালক ভাস্কর ডি কে দাশ মামুন, চট্টগ্রাম কবিয়াল সমিতির সভাপতি কবিয়াল মো. আবু ইউসুফ, শিল্পীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন নিশা চক্রবর্তী ও রূপম মুৎসুদ্দী টিটু, নৃত্যশিল্পীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তরুণ চক্রবর্তী এবং জয় বাংলা সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সাইফুল হাসান খান, চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সংগঠক এ কে এম হানিফুল ইসলাম চৌধুরী, রতন চক্রবর্তী, সমীরন পাল, দীলিপ সেনগুপ্ত, বাবুল দাশ, ছবির আহম্মদ, এস কে সজল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর