নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার। আর শুনানিতে সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমোদন হওয়া চুক্তিপত্রে কি আছে তা যাচাই বাছাই করা হবে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন এই শুনানি পরিচালনা করবেন। একইসাথে অনুমোদনের বাইরে কোনো স্থাপনা হলে তাৎক্ষণিক ভেঙে দেয়া হবে। গতকাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক তা নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘বিপ্লব উদ্যান এক সময় ছিল উন্মুক্ত স্থান। সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় এখানে গড়ে তোলা হয়েছে দোকান। সিটি কর্পোরেশনের সাথে চুক্তিপত্রে কি কি রয়েছে এবং বাস্তবে তারা কি করেছে তা শনাক্ত করা হবে। চুক্তিপত্রের বাইরে যদি কোনো স্থাপনা পাওয়া যায় তাহলে সাথে সাথে তা ভেঙে দেয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এজন্য সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ, এস্টেট বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। একইসাথে যারা কাজ পেয়েছেন তাদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।’
বিপ্লব উদ্যানের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন,‘ আমি ইতিমধ্যে বিপ্লব উদ্যানের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। ওখানে কাজ বন্ধ রয়েছে। শুনানির পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
উল্লেখ্য, সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। গতকাল চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোতে ‘বাগানে শুরু দোকানে শেষ’ শীর্ষক অভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একইসাথে অন্যান্য মিডিয়ায়ও গত কয়েকদিন ধরে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে আসছে।