সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
মঞ্চটা যখন বিশ্বকাপের তখন ভারতের জয় নিশ্চিত। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই ছিল সমীকরণ। ওয়াডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে খেলা ১২ বারের প্রত্যেকটিতে হেরেছিল পাকিস্তান। কিন্তু দুবাইয়ের ম্যাচে ইতিহাস এমনভাবে পাল্টে দিলো বাবর আজমরা যে, এতদিনের সব হতাশা মিলিয়ে গেলো দূর দিগন্তে। ১০ উইকেটের জয়, পাকিস্তানের সমর্থকরাও হয়তো চিন্তা করেননি। ভারতের এমন ভরাডুবির কারণ বের করেছেন ইনজামাম। একাদশ নির্বাচনের দিকে আঙুল পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের।
বিরাট কোহলির দলে ষষ্ঠ বোলার না থাকাকেই ‘বিপত্তি’র জায়গা হিসেবে দেখছেন ইনজামাম। আরও স্পষ্ট করে বললে হার্দিক পান্ডিয়ার একদাশে থাকাকে ‘ভুল’ মনে করছেন এই কিংবদন্তি ব্যাটার। চোটের কারণে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে বোলিং করেননি পান্ডিয়া। পাকিস্তান ম্যাচেও বল হাতে নিতে পারেননি। বিশেষ করে, তার কাঁধের সমস্যা দেখে ইনজামাম পড়ে ফেলেছিলেন, মানসিকভাবে কতটা ভঙ্গুর এই ভারত।
ইনজামাম মনে করছেন, মূল পাঁচ বোলারের ব্যাকআপ হিসেবে কেউ ছিলেন না কোহলি পরিকল্পনায়। আর পান্ডিয়ার কাঁধে হাত দিয়ে রাখার দৃশ্যে ফুটে ওঠে কতটা চাপে আছে ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এভাবে পান্ডিয়ার ‘প্রকাশ’ ভারতকে আরও ব্যাকফুটে ফেলে দেয়।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক বলেছেন, ‘ভারতের সবচেয়ে বড় বিপত্তি ঘটেছিল যেখানে, সেটা হলো হার্দিক পান্ডিয়াকে খেলানো। দল নির্বাচনে সঠিক ছিল না ভারত। বাবর আজম জানতো তার একাদশ নিয়ে সে কী করতে যাচ্ছে, তবে ভারত জানতো না।’
দুবাইয়ের ম্যাচে পান্ডিয়া সাত নম্বরে নেমে ৮ বলে করেন ১১ রান। ব্যাটিংয়ের সময় শাহীন আফ্রিদির একটি ডেলিভারি কাঁধে আঘাত করে তার। সঙ্গে সঙ্গে তিনি কাঁধ ধরে ফেলেন, যাতে স্পষ্ট ফুঠে ওঠে তার অস্বস্তি। এই অলরাউন্ডার আর মাঠে ফেরেননি এবং পাঠানো হয় স্ক্যান করতে।
ইনজামামের বক্তব্য, ‘আমার মনে হয় না পান্ডিয়ার এভাবে কাঁধ ধরাটা ঠিক হয়েছে। এরকম হাইভোল্টেজ ম্যাচে আপনি ব্যথা পেলেও প্রতিপক্ষকে কোনও ইঙ্গিত দিতে পারেন না যে আপনি ব্যথা পেয়েছেন। আমি ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে শচীন টেন্ডুলকারকে দেখেছি আঘাত পাওয়ার পরও ওই জায়গায় ঘষা পর্যন্ত দেয়নি। তারা ব্যথা পেলেও কোনও ইঙ্গিত করতো না।’
সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমি হার্দিকের ওই দৃশ্য দেখে তখনই বুঝে যাই, ভারত চাপে আছে। এটা মোটেও ভালো ইঙ্গিত নয়। পরবর্তীতে সে আর মাঠেও আসেনি, বলও করেনি।’ ভারতের একাদশের দিকে আঙুল তুলে এই কিংবদন্তি বলেছেন, ‘যদি ভারত ষষ্ঠ বোলার ব্যবহার করতো, তাহলে অবশ্যই ভালো হতো। বাবর আজম যেমন লাভবান হয়েছে মোহাম্মদ হাফিজকে ব্যবহার করে। তার হাতে শোয়েব মালিকও ছিল।’