সুপ্রভাত ডেস্ক »
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে একটি ঝুলন্ত সেতু ধসে একশর বেশি মানুষের জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন মৃতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। এখনো পর্যন্ত ১৪০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রাজ্যের মরবি শহরের মাচ্চু নদীতে সেতুটি ধসে শত শত মানুষ নদিতে ডুবে গেছে। ঘটনার সময় প্রায় পাঁচশো মানুষ সেতুটির উপরে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
গুজরাটের মরবিতে নদীর উপর যে ঝুলন্ত সেতুটি ভেঙে পড়েছে, তা সংস্কারের পর কিছু দিন আগেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেতু ফের চালু হওয়ার ৬ দিনের মাথায় এই বিপর্যয়। সঙ্কীর্ণ সেতুটিতে রবিবার সন্ধ্যায় প্রায় ৫০০ মানুষ উঠে পড়েছিলেন বলে দাবি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সেতুর উপর দাঁড়িয়ে কী ভাবে লাফালাফি করছেন অনেকে। এর পরেই নদীর উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি।
জানা গিয়েছে, সেতুটি সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘ওরেভা’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ ৭ মাস সেতুটি বন্ধ ছিল। গত ২৬ অক্টোবর তা খোলা হয়।
সেতুটি মেরামতের পর আবার চালু হওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরই এই ঘটনা ঘটলো। আবার খুলে দেয়ার আগে সঠিকভাবে সেটি পরীক্ষা করা হয়েছিল কি না সেনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনা তদন্তে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।
ঔপনিবেশিক যুগের ব্রিজটি ১৯ শতকে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময় নির্মিত হয়েছিল। দুইশ ত্রিশ মিটারের অবকাঠামোটি স্থানীয়ভাবে জুল্টো পুল নামে পরিচিত। এটি ওই এলাকার একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভেঙে পড়ার ঠিক আগে সেতুটি দুলতে শুরু করে।
কি কারণে সেতুটি ভেঙে পড়েছে তা ঠিক স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মনে করছে যে, দিওয়ালি উৎসবের ছুটির কারণে সেখানে অনেক বেশি ভিড় ছিল।
তিন দিনের সফরে নিজ রাজ্য গুজরাটে সফরে থাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেতু বিপর্যয়ে শোক প্রকাশ করেছেন ।
সূত্র : বিবিসি ও আনন্দবাজার