সুপ্রভাত ডেস্ক »
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজ্যের হাথরস জেলায় প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে।
হাথরস জেলার সিকান্দ্রা রাউ এলাকার রতি ভানপুর গ্রামে বিশেষভাবে স্থাপিত তাঁবুতে এক ধর্মপ্রচারক তাঁর অনুগামীদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই তাঁবু থেকে বের হওয়ার সময় শুরু হয় ঠেলাঠেলি। আর এতেই পদদলিত ১২১ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে হিন্দুস্থান টাইমস।
এদিকে মৃত্যুর সংখ্যা একেবারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গোটা ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও এনিয়ে শোকবার্তা জানিয়েছেন।
ভোলেবাবার সৎসঙ্গে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভক্তরা। প্রচন্ড গরমের মধ্য়ে চলছিল এই সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান। সেই সময় তাঁবুর ভেতরে একেবারে গলদঘর্ম অবস্থা। সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরেই হুড়মুড় করে বেরোতে যান ভক্তরা। আর তখনই ঘটে পদপিষ্টের ঘটনা। সেখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারলেন না অনেকেই।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘এটা ছিল ধর্ম প্রচারক ভোলে বাবার সৎসঙ্গ সভা। আলিগড় রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল শলভ মাথুর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে এটাহ ও হাথরস জেলার সীমান্তে ওই জায়গায় জমায়েত হওয়ার জন্য সাময়িক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্য়া ক্রমশ বাড়ছে।
আহত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে এবং সবাই জায়গা ছেড়ে যাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছিল।
ওই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত একজন জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে ওই ধর্মীয় প্রচারকের অনুগামীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেরিয়ে যাওয়ার কোন উপায় ছিল না। সবাই একসঙ্গে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ই পদপিষ্টের ঘটনা হয়। আমি যখন বের হওয়ার চেষ্টা করি, তখন বাইরে মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে থাকায় আমার পথ আটকে যায়। অনেকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ঘটনার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।