সংবাদদাতা, আনোয়ারা »
কর্ণফুলী উপজেলায় ভাড়া বাসা খুঁজতে গিয়ে ১৮ বছরের এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগে মোহাম্মদ আকাশ (১৯) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের বিল্লাপাড়া এলাকার শফি মেম্বারের বাড়ির পূর্বপাশে তিন রাস্তার মোড়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত আকাশ শিকলবাহা বাংলাপাড়া ফজল সর্দার বাড়ির মো. ফারুকের ছেলে।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন (১৮ জানুয়ারি) ভিকটিম পেকুয়া হতে বিকেলে বাসে করে কর্ণফুলীর মইজ্জারটেক মোড় আসেন। সেখানে মাহিন্দ্রা চালক মো. শওকত এর সাথে তার পরিচয় হয়। ভিকটিম চট্টগ্রামের গার্মেন্টসে চাকরি করবে বলে তাঁকে জানান। পাশাপাশি মাহিন্দ্রা চালককে কর্ণফুলী থানা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া খুঁজে দিতে বলেন। ইতিমধ্যে মাহিন্দ্রাচালক বাসা খোঁজার জন্য তার বান্ধবী বিলকিছ আক্তার ও বন্ধু ইমনকে ফোন করে মইজ্জ্যারটেক মোড়ে নিয়ে আসেন। পরে ভিকটিমসহ ঐদিন সন্ধ্যার দিকে পায়ে হেঁটে কর্ণফুলীর শিকলবাহা এলাকায় বাসা খুঁজতে থাকেন। রাতে সাড়ে ১০টার দিকে শিকলবাহা ইউনিয়নের (৩ নম্বর ওয়ার্ড) বিল্লাপাড়া এলাকায় তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে কয়েকজন যুবক তাদের মারধর করে ভিকটিমকে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নিয়ে গিয়ে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে পালাক্রমে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও মোহাম্মদ আকাশকে আটক করে এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। মামলায় পলাতক থাকা অন্যান্য আসামিরা হলো, ওমর ফারুক (২৩), মো. সোলেমান (২৩), মো.রাজু (২৪), সাকমান (২০), জোবাইদ (২৩), এবং আসিফ (২৩)।
কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহির হোসেন জানান, গতকাল রাতে ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ। পরে ভিকটিমকে উদ্ধার ও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের খালা রিজিয়া বেগম থানায় মামলা দায়ের করেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ মুহূর্তের সংবাদ