সুপ্রভাত ডেস্ক :
অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির ছোটভাই মিনাজের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন তাদেরই ভাইঝি। ভাইঝির অভিযোগ তার যখন মাত্র ৯ বছর বয়স তখন তাকে যৌন হেনস্থা করেন মিনাজউদ্দিন। ভাইঝি এও জানিয়েছেন, নওয়াজ মিনাজকে এই ব্যাপারে সমর্থন করেছেন। এই বিতর্ক ক্রমশ জলঘোলা হচ্ছে।
এমনিতেই নওয়াজ ও তার স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির মধ্যে ডিভোর্সের মামলা চলছে। আর তার মধ্যে ভাইঝির এই অভিযোগ নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। নওয়াজের আর এক ভাই সামাজ বলছেন, যৌন হেনস্থার অভিযোগে এই মামলা গত দু’বছর ধরে চলছে। কিন্তু সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলায় ব্যাপারটি এভাবে উঠে এসেছে।
তিনি বলছেন, আমাদের এই ভাইয়ের মেয়ে থাকে দেরাদুনে। নাবালিকা অবস্থায় সে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে একটি ছেলেকে বিয়ে করেছিল। থানায় তখন মিসিং ডাইরির অভিযোগ করেছিল আমার ভাই। দেরাদুন থেকে হাইকোর্টে এই মামলাটা পৌঁছয়। সে যে নাবালিকা নয়, তা প্রমাণ করতে একটি ফেক স্কুল সার্টিফিকেট দেখিয়েছিল। মামলাটি সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত পৌঁছয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ফের সেটিকে হাইকোর্টের ফিরিয়ে দেয়। মামলাটির দু বছরের পুরনো।
সামাজ বলছেন, আগের স্টেটমেন্ট গুলিতে সে কেবল মিনাজের বিরুদ্ধেই কথা বলেছিল। কিন্তু এখন নওয়াজকেও এর মধ্যে জড়াচ্ছে। আলিয়া আর নওয়াজ এমনিতেই বিতর্কের মধ্যে রয়েছেন। আর এখন সে উস্কানি দেঝয়ার জন্য এসব করছে। ওই মেয়েটি এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা আছে। কারণ তারা কখনোই হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন হাজিরা দেয়নি। আর নাবালিকাকে বিয়ে করার জন্য তার স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
সামাজ আরো জানিয়েছেন, একটা মানুষকে আর কতটা জড়ানো যায়। গ্রামে আমাদের ৪০০ আত্মীয় রয়েছেন। তাদের মধ্যে কারোরই কিছু হলে যদি নওয়াজ উদ্দিন এর নাম জড়িয়ে যায় সেটা ঠিক না।
অন্যদিকে বলিউড লাইফ এর কাছে সাক্ষাৎকারে নওয়াজুদ্দিনের ভাইজি জানিয়েছেন, আসলে মিনাজ তার পরিবারের থেকে সব ব্যাপারে সমর্থন পায়। সে কোনও কাজ করে না, রোজগার করে না। কিন্তু এইসব করতে তাকে কেউ না করে না। আর সব থেকে বেশি সে সমর্থন পায় নওয়াজ বড় পাপার থেকে। ওই বাড়িতে সবাই জানতো আমার সঙ্গে কী হচ্ছে। আমি সবাইকে সবটা জানিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ একটা শব্দ করেনি।
নওয়াজের প্রসঙ্গে ভাইজি বলছেন, আমার মনে হয়েছিল নওয়াজ বড় পাপা বুঝবেন। উনি যেমন মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা করেন তার থেকেই মনে হয়েছিল। কিন্তু তিনিও আমায় সোজাসুজি বলেন, ‘মিথ্যে কথা বলোনা। আমার ভাই এসব কিছু করতেই পারে না।’ আমার বয়স তখন ১৩। ১৩ বছরের বাচ্চা একটা মেয়ে এসব নিয়ে মিথ্যে বলবে কেন? নওয়াজ বলেছিলেন, ‘কোন সিনেমা দেখে এই সব গল্প বানাচ্ছ? এইসব হতেই পারে না’।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
বিনোদন