নিজস্ব প্রতিবেদক »
কুমিল্লায় পূজাম-পে কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় গ্রেফতার যুবক ইকবাল হোসেন ভবঘুরে হয়ে কী করে পবিত্র কোরআন শরিফ চিনল? এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় রানা দাশগুপ্তের বাসায় সাক্ষাতে যান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। একান্ত বৈঠক শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে রানা দাশগুপ্ত এ প্রশ্ন তোলেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভবঘুরে হয়ে কী করে পবিত্র কোরআন শরিফ চিনল? যদি সে ভবঘুরে হয়ে থাকে, যদি সে রাস্তার লোক হয়, তাহলে নতুন পবিত্র গ্রন্থ কোথা থেকে আনল, কে দিলো? সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা গেছে হনুমানের গদাটা সে এমনভাবে সরালো যেন হাতের কিছু না হয়। আবার সেখানে পবিত্র কোরআন শরিফ দিয়ে দিলো- এটি কোনো ভবঘুরের কাজ হতে পারে না। এটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা বলে দাবি করে তিনি বলেন, চক্রান্তকারীরা পেছনে আছে। তাদের বের করে আনার দায়িত্ব রাষ্ট্র, প্রশাসন ও সরকারকে নিতে হবে।’
ইকবালকে পাগল এবং ভবঘুরে বলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনায় গ্রেফতার যুবক ইকবাল হোসেনের নামের আগে একটি শব্দ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। শব্দটি হলো ভবঘুরে। যা টেলিভিশনে দেখলাম। এমন যাদের ধরা হয়, তাদের কখনো কখনো পাগল, না হলে ভবঘুরে বলে।
এর আগে সনাতন ধর্মালম্বীদের দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিন কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড় এলাকার দর্পণ সংঘের অস্থায়ী পূজাম-পে প্রদর্শনের জন্য রাখা একটি গদাহীন হনুমানের প্রতিমার কোলে একটি কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। ওই দিনই সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করে এক তরুণ। লাইভ দেখে উত্তেজনা ছড়িয়ে ওই ম-পসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ম-প ভাঙচুর করা হয়। এর পর থেকে প্রায় সপ্তাহ অন্তর চলে এ ধ্বংস যজ্ঞ। চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, গাজীপুর, রংপুর, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন সম্প্রদায়ের মঠ-মন্দির, বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। দশমীর দিনে চট্টগ্রামের জেএমসেন হল পূজা ম-পেও হামলার চেষ্টা চালানো হয়।
এর মধ্যে গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় পূজাম-পে এক ব্যক্তির কোরআন শরিফ রেখে আসার ভিডিও। তার নাম ইকবাল হোসেন বলে শনাক্ত হয়। পেশায় রঙমিস্ত্রি ইকবাল ৩৫ বছর বয়সী। সে কুমিল্লা শহরের সুজানগরের খানকা মাজার এলাকার নূর মোহাম্মদ আলমের ছেলে।
এ মুহূর্তের সংবাদ