সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
গত নভেম্বরে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তান সিরিজ দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। ভগ্নদশা গ্যালারিতে বসেই বাংলাদেশকে সমর্থন জুগিয়েছিলেন সমর্থকরা। তবে খুশির খবর, বদলে গেছে সাগরিকার গ্যালারি। পুরো গ্যালারিতেই নানা রঙের নতুন চেয়ার বসেছে। যদিও নতুন এই চেয়ারে বসে দর্শকরা সাকিব-তামিমদের কবে উৎসাহ দিতে পারবেন, সেটি জানা নেই।
বিপিএল সামনে রেখে সাগরিকার গ্যালারি নতুন করে সেজেছে। কমলা, সবুজ, নীল- এই তিন রঙের সিট বসেছে বাংলাদেশের ‘পয়মন্ত’ ভেন্যুতে। খবর বাংলাট্রিবিউনের
২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ উপলক্ষে এই স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন করা হয়েছিল। গ্যালারির একপাশ দোতলা করে পুরো স্টেডিয়ামে বসানো হয়েছিল প্লাস্টিকের চেয়ার। গ্যালারিতে যে চেয়ারগুলো বসানো হয়েছিল, তার কিছু কিছু উধাও হয়ে গেছে। আবার কিছু অংশে কোনও চেয়ারও ছিল না। সেখানে ধাপে ধাপে বসানো সিঁড়িগুলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। চেয়ার না থাকায় আবার অনেক জায়গাতে লোহার পেরেক বের হয়ে ছিল। সব মিলিয়ে ভংগ্নদশা অবস্থাতেই ছিল স্টেডিয়ামের গ্যালারি।
তবে দুই মাসের ব্যবধানে পুরোপুরি বদলে গেছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গ্যালারি। ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারি খান জানিয়েছেন, নতুন সাড়ে ১২ হাজার সিট বসানো হয়েছে গ্যালারিতে। তিনি বলেছেন, ‘এখন স্টেডিয়ামে ১৮ হাজারের বেশি সিট রয়েছে। পুরান ভালো কিছু সিট রয়ে গেছে। নতুন সিট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।’
মূলত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামটির গ্যালারির এমন বেহাল অবস্থা। ২২ হাজার দর্শকধারণ ক্ষমতার এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চেয়ার বসানো হয়েছিল ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে। ১০ বছর ব্যবধানেই মূলত স্টেডিয়ামের এমন ভগ্নদশা। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের দেওয়া চেয়ার কতদিন টিকবে সেটি নিয়েও আছে প্রশ্ন।
তবে নতুন বসানো চেয়ার অন্তত ১০ বছর টিকবে বলেই মনে করেন ভেন্যু ম্যানেজার, ‘আগের চেয়ার আনা হয়েছিল দেশের বাইরে থেকে। সেগুলো অনেক বছরই টিকে ছিল। এবার দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে চেয়ার নিয়েছি। এক বছরের ওয়ারেন্টি আছে। কতদিন টিকবে বলা তো মুশকিল, আশা করছি অন্তত বছর দশেক টিকে থাকবে।’
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মালিকানাধীন। মূলত স্টেডিয়ামের সংস্কারসহ যাবতীয় কাজ তারাই তদারকি করেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে যথাযথ সাড়া না পাওয়াতে শেষ পর্যন্ত নিজেদের দায়িত্বেই সংস্কার কাজ করেছে বিসিবি।