সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
পরিস্থিতি যা তাতে বল পালিশে লালার ব্যবহারে রাশ টানা নিঃসন্দেহে নিরাপদ সিদ্ধান্ত। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূল হলে অর্থাৎ সিরিজ শুরুর আগে সকল ক্রিকেটারের করোনা রিপোর্ট যদি নেগেটিভ থাকে সেক্ষেত্রে লালা ব্যবহারে ছাড় দেওয়া যেতেই পারে। জানালেন জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা পেসার অজিত আগারকার।
লালার গুরুত্ব বোঝাতে আগারকার জানান, একজন ব্যাটসম্যানের অস্ত্র যেমন ব্যাট ঠিক তেমনই বোলারের অস্ত্র লালা। এপ্রসঙ্গে ওয়ান-ডে ক্রিকেটে ২৮৮ উইকেটের মালিক পিটিআই-কে জানান, ‘সিরিজ শুরুর আগে ঘটনাক্রমে ক্রিকেটাররা স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাবে। আর সেখানে করোনা পরীক্ষায় সকলের রিপোর্ট যদি নেগেটিভ হয় তাহলে অন্তত বল পালিশে লালা ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।’ এব্যাপারে বিশেষজ্ঞ একজন চিকিৎসকই আরও বিস্তৃত বলতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন প্রাক্তন অল-রাউন্ডার।
প্রাক্তন মুম্বই ক্রিকেটার বলেন, নিঃসন্দেহে বল পালিশে লালা ব্যবহারের কোনও বিকল্প হতে পারে না। কিন্তু ক্রিকেট কমিটি কিংবা মেডিক্যাল কমিটির পক্ষেও কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না। এতদিন খেলা বন্ধ থাকার পর করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লালা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়াটা সহজ নয় বলেই মত তার। তাই প্রাক্তন মুম্বই অল-রাউন্ডার জানাচ্ছেন, ‘আমি সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। ওরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা একদম নিরাপদ সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমাদের ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। পরিস্থিতি খুব একটা সহজ হবে না বোলারদের জন্য। তবু আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’ আধুনিক ক্রিকেট এমনিতেই ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কথা বলে। সেখানে বল পালিশে লালার ব্যবহার বন্ধ হলে বিষয়টা ব্যাটসম্যানদের হাতে দড়ি বেঁধে দেওয়ার মতো হবে বলে মত ৫০ ওভারে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির। উল্লেখ্য, বিশ্ব ক্রিকেটে একসময় দ্রুততম ৫০ উইকেট শিকারি হিসেবে নজির গড়েছিলে প্রাক্তন মুম্বই অলরাউন্ডার। অজি কিংবদন্তির রেকর্ড টপকে ২৩টি ওয়ান-ডে ম্যাচে ৫০ উইকেট ঝুলিতে ভরে নিয়েছিলেন আগারকার। যদিও পরবর্তী সময় শ্রীলঙ্কার মিস্ট্রি স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস আগরকরের সেই রেকর্ড ভেঙে দেন। মাত্র ১৯ ম্যাচে ৫০ উইকেট সংগ্রহ করে নেন তিনি।
দেশের হয়ে ১৯১টি টেস্টে ২৮৮ উইকেট সংগ্রহ করেছেন আগারকার। পাশাপাশি ২৬ টেস্টে আগারকারের ঝুলিতে রয়েছে ৫৮টি উইকেট।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা