করোনাভাইরাস
উপজেলার মধ্যে হাটহাজারী, রাউজানে বেশি
রুমন ভট্টাচার্য <<
চট্টগ্রামে উপজেলার চেয়েও করোনা আক্রান্ত বেশি নগরে। প্রতিদিন নগরে বাড়ছেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নগরে শনাক্তের হার ৭৯.২৮ শতাংশ ও উপজেলায় ২১ শতাংশ। এছাড়া উপজেলার চেয়ে নগরে মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি। এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৮৪ জন। এর মধ্যে নগরে ২৮২ ও উপজেলায় ১০২ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ‘করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। শুধু মাস্ক পড়লেই ৯০ শতাংশ করোনামুক্ত থাকা সম্ভব।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে উপজেলার চেয়ে নগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। মহানগরীতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৩৫৮ এবং উপজেলায় ৭ হাজার ৯৩৪ জন। সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ২৯২ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ২৬ হাজার ৩৮৭ জন ও মহিলার সংখ্যা ১১ হাজার ৯০৫ জন।
বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ রয়েছে ০-১০ বছর বয়সী শিশু। তার মধ্যে ৫৫১ জন ছেলে ও মেয়ে ৩৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যার শতকরা হার দাঁড়ায় ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এরপর ১১-২০ বছর বয়সীদের মধ্যে ছেলে ১৪৫৯ জন ও মেয়ে ১১৬৬ জন। যা শতকরা হার দাঁড়ায় ৭ শতাংশ। এছাড়া নগরী ও উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ শতাংশের বয়স ৩১-৪০ বছর বয়সের মধ্যে। এদের মধ্যে ৬ হাজার ৬৬৭২ জন পুুরুষ ও মহিলা ২ হাজার ৩৮০ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এরপর ১৯ শতাংশ রোগীর বয়স ৪১-৫০ বছর বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৭৪ জন ও নারী ২ হাজার ১৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ ঁ ২য় পৃষ্ঠার ১ম কলাম
দশমিক ৩২ শতাংশ হচ্ছেন ৫১-৬০ বছর বয়সীরা। এদের মধ্যে নারী ১ হাজার ৯৩৪ ও পুরুষ ৩ হাজার ৯৩৩ জন। এছাড়া ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ রয়েছেন ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে, যাদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৪৩৫ জন ও নারী ১ হাজার ৫৪৭ জন।
উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৪ উপজেলার মধ্যে হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়ি, পটিয়া ও সীতাকুণ্ডে কভিড-১৯ রোগী সবচেয়ে বেশি। উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭,৯৩৪ জনের মধ্যে সাতকানিয়ায় ৩১০ জন, সীতাকুণ্ডে ৭০৬ জন, বোয়াখালীতে ৪৬৬ জন, পটিয়ায় ৬৭৯ জন, আনোয়ারা ৩৩১ জন, চন্দনাইশে ৩৭৮ জন, ফটিকছড়িতে ৭২৩ জন, মিরসরাইয়ে ৩৪৮ জন, হাটহাজারীতে ১৭৮১ জন, লোহাগাড়ায় ২৪৬ জন, সন্দ্বীপে ১২৫ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৪০৯ জন, বাঁশখালীতে ৪২৩ জন ও রাউজানে ১০০৯ জন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি সুপ্রভাতকে বলেন, ‘নগর ও উপজেলায় যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই বয়সে তরুণ ও মধ্যবয়সী। উপজেলার চেয়ে করোনা আক্রান্ত বেশি হচ্ছে নগরে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলেই করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাবও দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ ও মধ্যবয়সীরা স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। শুধু মাস্ক পরলেই ৯০ শতাংশ করোনামুক্ত থাকা সম্ভব। তাই সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করে বলব বাইরে বের হলে অবশ্যই মুখে মাস্ক পড়ুন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।’