নিজস্ব প্রতিবেদক »
তীব্র গরমের হাঁসফাঁস কাটিয়ে বৃষ্টির স্বস্তিতে নগরবাসী। দিনের শুরুতে আকাশ রৌদ্রোজ্জ্বল থাকলেও বেলা গড়াতেই নেমেছে বৃষ্টি। বর্ষণে রাস্তা-ঘাট ভিজে কাঁদায় একাকার হলেও গরমের তীব্রতা থেকে ঢের ভালো বলছেন কেউ কেউ। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এমন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে আরো ২ দিন।
মঙ্গলবার রাতের (১৬ মে) বৃষ্টির পর গতকাল সকালে রোদের দেখা মিললেও বুধবার দুপুর থেকে শুরু হয় বৃষ্টি।
চকবাজারের বাসিন্দা শুভাশীষ চাকমা বলেন, ‘সকালে বেশ আরামের রোদ ছিলো তাই কাপড় ধুয়ে শুকাতে দিলাম। আগের রাতে বৃষ্টি হওয়ায় প্রকৃতি ঠা-াই ছিলো। কিন্তু দুপুর বারোটা নাগাদ দমকা হাওয়ার সাথে শুরু হয় বজ্রপাত ও বৃষ্টি। ছাদে পৌঁছাতেই কাপড়গুলো ভিজে একাকার। তবে কয়েকদিন আগের তীব্র গরমের চাইতে এ যেন ঢের ভালো। বৃষ্টি হলে ভালোই লাগে। তবে টানা হলে শহরে রাস্তাঘাটে চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মর্কতা জহিরুল ইসলাম জানান, নগরবাসীকে আজ এবং কালও (১৯ মে) ছাতা, রেইনকোট ও বৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে বের হতে হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে আগামী আরো ২ দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি থাকবে। তবে এই বৃষ্টি স্থায়ী নাও হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, মোখার কারণে ভেসে আসা মেঘগুলো জমে বৃষ্টিতে পরিণত হচ্ছে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বায়ুর চাপ রয়েছে। যার ফলে এই মেঘ কেটে না যাওয়া পর্যন্ত আবহাওয়া ঠা-া থাকবে এবং আংশিক বৃষ্টি হবে। অর্থাৎ বৃষ্টি স্থায়ী হবেনা। বৃষ্টির শুরুতে থাকবে দমকা হাওয়া ও বজ্রপাত। তবে বৃষ্টি হবে হালকা ও মাঝারি ধরণের। যার মাত্রা থাকবে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২ মিলিমিটার পর্যন্ত। রাত ও দিনের তাপমাত্রা ১-২ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। অর্থাৎ তাপমাত্রা থাকবে সর্বোচ্চ ৩২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে সর্বনি¤œ ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম দিক হতে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মর্কতা জহিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সমুদ্রপৃষ্টে যে বায়ুর চাপ সৃষ্টি হয়েছে তার প্রভাবে আরো ২ দিন ( ১৮-১৯ মে) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। তবে আমরা আশা করছি আগামী শনিবার মেঘ কেটে গিয়ে পূর্ণ রোদের দেখা পাবে চট্টগ্রামবাসী। সেই সাথে বৃষ্টির প্রভাবে প্রকৃতি থাকবে ঠা-া। আজ ১৮ মে এবং ১৯ মে এই দুদিন থাকবে আংশিক হালকা বা মাঝারি ধরণের দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি।’