সুপ্রভাত ডেস্ক :
রাজধানীর শ্যামবাজার কাছাকাছি বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ এ দাঁড়িয়েছে। ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তর সবশেষ খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়তে পারে হতাহতের সংখ্যা। আজ সোমবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে শ্যামবাজারের কাছে চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামের একটি ছোট লঞ্চ ডুবে যায়। উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ডুবুরি ইউনিটের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ- নেভি ও র্যাব। দমকল বাহিনীর সদরদপ্তরের ডিউটি অফিসার শাহাদৎ হোসেন জানান, উদ্ধার করা মৃতদেহগুলোর মধ্যে পুরুষ ১৯ জন, নারী আটজন এবং শিশু তিনটি।
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম ভূঁইয়া বলেন, “মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি এলাকা থেকে ৬০-৭০ জন যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চটি ঢাকায় ফিরছিল। এ সময় ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চ মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়।”
এদিকে নিহত ৩০ জনের মৃতদেহ রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড। এদিকে ঘাতক ময়ূর-২ লঞ্চটি জব্দ করা হয়েছে। তবে, লঞ্চের মাস্টার পালিয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, “নদীর তলদেশে এম এল মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। লঞ্চটি উদ্ধার করতে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যয় নামের একটি জাহাজ রওনা দিয়েছে।”