আবদুল মান্নান »
আজ ১৪ ডিসেম্বর শোকাবহ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর জামায়াতÑআলবদর রাজাকার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস ধরে আমাদের দেশের বরেণ্য লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের নৃশংস ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।
একাত্তরে ঘাতকদের হাতে যত বুদ্ধিজীবী নিহত হয়েছেন, তাদের অত্যাচারে পঙ্গু হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। যদিও একটি দিনকে একাত্তরে নিহত বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, বাস্তবে বছরের প্রতিটি দিনই যেমন গণহত্যা দিবস, ঠিক একইভাবে প্রতিটি দিনই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কারণ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে বাংলাদেশে গণহত্যার শুরু থেকেই বুদ্ধিজীবী নিধন শুরু হয়েছিল যা পুরো নয় মাস চলেছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কোন হঠাৎ চিন্তার ফসল নয় । এর পেছনে আছে দীর্ঘদিনের চিন্তা ও প্রস্তুতি । ১৯৪৭ সালে পকিস্তান নামক বিকলাঙ্গ রাষ্ট্রটি যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন শিক্ষাদীক্ষায় ও সংস্কৃতিÑসর্ব ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিলেন পূর্ব বাংলার সকল সম্প্রদায়ের বাঙালিরা। মুসলিম লীগ নেতারা যে ইকবালকে পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন সেই ইকবালের স্বপ্নের পাকিস্তানে কখনো বাংলার অস্তিত্ব ছিল না ।
চল্লিশের দশকের গোড়ার দিক পর্যন্ত বাংলাও পাকিস্তানের অংশ হবে তা ধারণা করা হয়নি। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের বিষয়টাও তেমন একটা বড় বিষয় হিসাবে দেখা হয়নি । বড়জোর একটা ফেডারেল রাষ্ট্রের কথা চিন্তা করা হয়েছিল । ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগের দিল্লি কনফারেন্সে প্রথমবারের মতো ঠিক করা হয় মুসলমানদের জন্য ভারতে একটি পৃথক রাষ্ট্র হবে। তা ভারত ভাগ হয়ে হবে না ভারতকে অখ- রেখে হবে তা পরিষ্কার ছিল না। তবে এই সব বিষয় বিস্তারিত ভাবে এখানে আলোচনা না করেও বলা যায় বাংলা ভাগ হয়ে একটি অংশ যে পাকিস্তানের সাথে জুড়ে দেয়া হলো তা অনেকটা রাজনীতিবিদদের নির্বুদ্ধিতার ফল । অবিভক্ত বাংলাও একটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারতো এবং তার জন্য চেষ্টাও করেছিলেন শরৎ চন্দ্র বসু, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাসিম প্রমুখরা। কিন্তু সম্ভব হয়নি, যার জন্য রাজনীতিবিদদেরকেই দায় নিতে হবে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর পাকিস্তানের পাঞ্জাবের সামরিক বেসামরিক শাসকগোষ্ঠী এটি উপলব্ধি করেছে তদানিন্তন পাশ্চিম পাকিস্তানের অন্যান্য প্রদেশের অধিবাসীরা যেভাবে তাদের বশ্যতা ও হুকুম তামিল করে, পূর্ব বাংলার মানুষ তা করতে অস্বীকার করে। সেখানকার মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষিত সমাজ তাদের অধিকারের বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন এবং প্রয়োজনবোধে প্রতিবাদ করে, প্রতিহত করে যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ১৯৪৮ সালে শুরু হওয়া ভাষা আন্দোলন ।
১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের বড় লাট মোহাম¥দ আলি জিন্নাহ ঢাকায় এসে ২১ মার্চ ঘোষণা করেন, পাকিস্তানের ছয় ভাগ মানুষের ভাষা উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা । জিন্নাহর এমন অবিবেচনাপ্রসূত ঘোষণা ছিল উত্তর ভারত হতে পাকিস্তানে চলে আসা মানুষদের স্বার্থ রক্ষা করা। পাকিস্তানের শুরুতে এই অন্যায় প্রস্তাবের প্রথম বিরোধিতা এসেছিল বাংলার শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী সমাজ হতে যার উৎসাগার ঢাকায় তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ।
১৯৪৮ সাল হতে শুরু হওয়া পাকিস্তানের যত অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে তার সবগুলোরই উৎপত্তি বাংলাদেশে এবং তা শুরু হয়েছিল মূলত বাংলার বুদ্ধিজীবীদের হাত ধরেই। বায়ান্নোর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এই দেশের বুদ্ধিজীবী শ্রেণির অবদান ছিল অসামান্য। তারও আগে ত্রিশের দশকের চট্টগ্রামের যুব বিদ্রোহ, ছেচল্লিশের তেভাগা আন্দোলন, ব্রিটিশ বা পাকিস্তানের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে এই দেশের শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী সমাজ ।
একটি দেশের বা রাষ্ট্রের প্রাণ বা আত্মা হচ্ছে তার বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষিত সমাজ কারণ তারা ভাল আর মন্দের মধ্যে তফাৎ বোঝেন। যুগ যুগ ধরে এই সত্যটি দেশে দেশে শাসকগোষ্ঠী বুঝেছে । ইংরেজ শাসকগোষ্ঠী প্রায় দু’শত বছর এই উপমহাদেশ শাসন ও শোষণ করেছে কিন্তু তাদের শাসনামলের প্রথম এক’শ বছর শিক্ষা ব্যবস্থা চরমভাবে অবহেলিত থেকেছে। ১৮৩৫ সালে লর্ড ম্যাকেলেকে প্রধান করে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতের জন্য উপযুক্ত একটি শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করার দায়িত্ব দেয়। কাজ শেষে তিনি যে রিপোর্ট দেন তার মূল বিষয় ছিল ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা এমন হবে যে শিক্ষিত ব্যক্তিরা হবেন রক্তেমাংসে ভারতীয় আর চিন্তাচেতনায় ইংরেজ। যাত্রাটা শুরু করতে হবে তাদের ‘নিম্নমানের ইতিহাসÑঐতিহ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা’ ভুলিয়ে দিয়ে’। ১৯২২ সাল পর্যন্ত ভারতীয় প্রশাসন যন্ত্র ছিল ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে। তারা কখনো চায়নি ভারতীয়রা প্রশাসনে থাকুক। পাকিস্তানি শাসকরাও একই চিন্তাধারা পোষণ করতেন এবং যে কারণে পাকিস্তানি প্রশাসনে পাঞ্জাবিদের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো । যেমনটি বলেছিলাম, বুদ্ধিজীবী বা প্রকৃত শিক্ষিত ব্যক্তিরা হচ্ছেন একটি আধুনিক রাষ্ট্রের আত্মা । তারা ন্যায় অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্যটা যত দ্রুত বোঝেন অন্যরা ততটা বোঝেন না । যে কারণে তদানিন্তন পূর্ব বাংলা বা এমন কি অবিভক্ত বাংলায় বিভিন্ন সময়ে শাসকগোষ্ঠীর যে নির্যাতন, নিপীড়ন, জেল জুলুম নেমে এসেছে তা অন্যদের তেমন একটা ভোগ করতে হয়নি। সেটি যেমন নেতাজি সুভাষ বোসের বেলায় সত্য ঠিক একইভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বেলায়ও সত্য ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের দিবাগত রাতে যে গণহত্যা শুরু হয়েছিল তার একটা ধরণ ছিল। প্রথম টার্গেট ধর্ম, রাজনৈতিক বিশ্বাস নির্বিশেষে সকল বাঙালি নিধন। তারপর বেছে বেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, তারপর ধর্মীয় সংখ্যালঘু, এরপর দেশের তরুণ সমাজ আর সারা বছর ধরে বিভিন্ন শ্রেণির বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী । পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী দেখেছে যেই মুহূর্তে একাত্তর সালের পয়লা মার্চ এক রেডিও ঘোষণার মাধ্যমে ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান গণপরিষদের আসন্ন অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন, তার প্রথম প্রতিবাদটির সূচনা হয়েছিল ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। পর্যায়ক্রমে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন দেশের শিক্ষক, লেখক, শিল্পী সহ সকল শ্রেণির বুদ্ধিজীবী আর তাদের অনুসরণ করে শ্রমিক কৃষকরা । তারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন, সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন, সভা সমাবেশে গিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের বেশির ভাগেরই কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। সেই কারণেই শেষ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশে দখলদার শাসকগোষ্ঠীর অন্যতম টার্গেট ছিল এই শিক্ষিত সমাজ ও বুদ্ধিজীবী। একাত্তরে গণহত্যা শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের হত্যার মধ্য দিয়ে এবং তা শেষ দিন পর্যন্ত চলেছে ।
শুরুতে বুদ্ধিজীবী নিধনের কাজ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অনেকটা এককভাবে করলেও খুব দ্রুত তারা তাদের এদেশীয় দোসরদের সার্বিক সহায়তা পেয়ে যায়। চট্টগ্রামের কু-েশ্বরীর স্বত্বাধিকারী নূতন চন্দ্র সিংহকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে মৃত্যুদ- পাওয়া সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। একেবারে দলগতভাবে এগিয়ে এসেছিল গোলম আযম আর মতিউর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলাম ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরের কিলিং স্কোয়াড আলবদর আর মুসলিম লীগের আল সামস। তাদের সার্বিকভাবে সহায়তা করে দেশভাগের পর ভারত হতে এদেশে আসা অবাঙালিরা। এদের সকলকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করতো পাকিস্তান সরকার । বিভিন্ন জেলায় এই আলবদর আর আল শামসরা সৃষ্টি করেছিল বধ্যভূমি। আগস্ট সেপ্টেম্বরের দিকে পাকিস্তানি শাসকদের কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় এই যুদ্ধে তাদের বিজয় অনেকটা অসম্ভব, যদি না কোন বড় ধরণের আন্তর্জাতিক শক্তি তাদের প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে। সে পথও অনেকটা রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল ভারতের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কূটনীতি ও জাতিসংঘে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটোর কারণে । ততদিন মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে প্রায় সকল ফ্রন্টে পর্যুদস্ত করে ফেলেছে । নভেম্বর নাগাদ স্বাধীন বাংলাদেশের আবির্ভাব অনিবার্য হয়ে ওঠে। তারা এই উপসংহারে উপনীত হয়, বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঠেকানো যাবে না, তবে তাদের আত্মা আর বিবেককে ধ্বংস করে দিলে দেশটা সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে কখনো উঠে দাঁড়াতে পারবে না । সব সময় সব কিছুর জন্য অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে । হতে পারে তা পাকিস্তানও। তবে বর্তমানে সেই পাকিস্তান বাংলাদেশ হতে চায় ।
পাকিস্তান তাদের শেষ কামড়টা দিল বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে। এইবার তাদের অন্যতম সহায়ক শক্তি জামায়াতে ইসলাম ও আল-বদর। নীল নক্সাটা তৈরি করা হয়েছে পাকিস্তানের জেনারেল রাও ফরমান আলির হাতে। তিনিই তৈরি করতেন টার্গেটদের তালিকা। সহায়তা নিতেন স্থানীয় পাকিস্তানপন্থি নেতাদের। অনেক ক্ষেত্রে তাতে সহায়তা করতো কিছু বুদ্ধিজীবী, এমন কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও এই সহায়তাকারীদের তালিকা হতে বাদ যাননি। এরা কম বেশি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ কর্তৃক নানাভাবে পুরস্কৃতও হয়েছেন। কয়েকজন মন্ত্রিসভায়ও ঠাঁই পেয়েছেন।
এটি ভাগ্যের ব্যাপার, ঘাতকরা অনেক পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীর অবস্থান সনাক্ত করতে পারেনি। হয় তারা আগেই আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন অথবা দেশত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন । কিন্তু সকলের ভাগ্যে তা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি । নিজ বাড়ি বা কর্মস্থল হতে ঘাতকরা তুলে নিয়ে হত্যা করেছিল ডাক্তার আলীম চৌধুরী, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক মুনির চৌধুরী, লেখক শহীদুল্লাহ কায়সার, আনোয়ার পাশা, সেলিনা পারভীন, শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ আরো অনেককে। এদের বেশির ভাগকেই গুলি করে, নয় পেছনে হাত বেঁধে বেয়নেট চার্জ করে হত্যা করা হয় । কারো কারো চোখ উপড়ে ফেলা হয় । প্রতিবছর যখন এই দিনটি আসে আমরা সব সময় রায়ের বাজার বা মিরপুরের বধ্যভূমির কথা মনে করি। বাস্তবতা হচ্ছে সারা বাংলাদেশই তখন ছিল বধ্যভূমি ।
স্বাধীন বাংলাদেশে জীবিত বুদ্ধিজীবীরা দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুকে নানা ভাবে সাহায্য সহায়তা করেছিলেন । পরিকল্পনা কমিশন গঠন হতে শুরু করে সংবিধান প্রণয়ন, বিদেশে দূতাবাস চালু করা, স্বাধীন দেশের আমলাতন্ত্র চালু করা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা আবার শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়াÑকোন কিছুই বাদ যায়নি । দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এই সব বুদ্ধিজীবীদের দেশের প্রতি এতই ভালবাসা ছিল যে তাদের অনেকেরই নিজ দপ্তরে কাজ করার জন্য টেবিল চেয়ারও ছিল না । যাতায়াতের বাহন ছিল অনেকের ক্ষেত্রে রিক্সা। বেতন ছিল দেড় হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকা। তারা সকলে দেশগঠনে নিজেদের উজার করে দিয়েছিলেন। পঞ্চাশ বছর পর চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখনো দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবী বা পেশাজীবী আছেন তবে একটি বড় অংশ আছেন যারা নিজের দেশের স্বার্থ বিদেশে বিকিয়ে দিতে চোখের পলক ফেলেন না, নির্দ্বিধায় নিজের দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেন। বঙ্গবন্ধু বলতেন ‘আমার দেশে গরিব কৃষক চুরি দুর্নীতি করে না। দুর্নীতি করে শিক্ষিতজনেরা’। বঙ্গবন্ধুর আমলের তুলনায় দেশে এখন জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু তাদের অনেকের মধ্যে একাত্তরের সেই সব বুদ্ধিজীবী বা পেশাজীবীদের তুলনায় দেশপ্রেমের যথেষ্ট ঘাটতি আছে। আমলাতন্ত্রের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সরকারের সকল শুভ পরিকল্পনাকে বানচাল করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করে।
আজকের এই দিনে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল বুদ্ধিজীবীর প্রতি রইলো সশ্রদ্ধ অভিবাদন । বিন¤্র শ্রদ্ধা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ত্রিশ লক্ষ শহিদদের প্রতি ।
লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক