নিজস্ব প্রতিবেদক >
নগরীর ব্যস্ত ও যানজটের জায়গা তিনপুল। গাড়ি আর মানুষের জট লেগেই থাকে। পশ্চিমপাশে রিয়াজউদ্দিন বাজার, গোলাম রসুল মার্কেট, কাঁচাবাজার। পূর্ব পাশে ব্যাংক, হার্ডওয়্যার মার্কেট আর স্কুল। সব মিলিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এমন জায়গায় যানজটের পরিবর্তে দেখা মেলে জলজটের।
গতকাল সকাল ১১টায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে মোড়টি। প্রায় বুক সমান পানি। গোলাম রসুল মার্কেটের নিচতলা, রিয়াজউদ্দিনের কাচাঁবাজারের দোকানসহ রাস্তার ধারের অনেক দোকান পানিতে ভেসে গেছে। অপেক্ষমাণ অনেক রিকশা, কার, ভ্যান প্রায় ডুবে যায়। গাড়ি চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে পড়ে। প্রায় দুইঘন্টা থমকে দাঁড়ায় পুরো এলাকা।
গোলাম রসুল মার্কেটের নিচতলায় মডার্ন প্লাস্টিকের দোকানে কর্মরত এক কর্মচারী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পানি বেড়ে যায়। পানি দোকানের ভিতরেও চলে আসে। আমরা কাঠের তক্তা দিয়ে কোন রকমে ঠেকিয়েছি। এরপরও অনেকগুলো মালামাল ভিজে গেছে।
ওই মার্কেটের কেয়ারটেকার বলেন, এখানে আজকের (গতকাল) মতো এত পানি গত কয়েক বছরে দেখিনি। এই বছর হঠাৎ পানি জমে গেল। আমরাও কল্পনা করিনি এত পানি উঠবে।
তবে দুপুরের দিকে পানি নেমে যায়। স্বাভাবিক হয় গাড়ি চলাচল। দোকানপাটে বেচাকেনা শুরু হয়।
অন্যান্য এলাকার মতো নগরীর দেওয়ানহাটের সুপারি পাড়ায়ও বৃষ্টির পানি জমে যায়। যাদের বাসা নিচতলায় তাদের প্রায় ঘরে পানি ঢুকে পড়ে।
সরজমিনে দেখা যায়, যারা সকালে কাজে বাইরে যান তারা গলির মুখে দাঁড়িয়ে ছিল। গলির ভিতরে পানি জমে যাওয়া বাসায় যাওয়া রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ রিকশা নিয়ে বাসায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। অনেকে খাটের উপরে আসবাবপত্র তুলে রেখে কোন রকমে রক্ষা পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
ভেজা কাপড়ে কাঁপতে কাঁপতে রিকশা চালক শুক্কুর মিয়া জানান, জল নামার অপেক্ষায় ঠাণ্ডায় দাঁড়িয়ে আছি। বাসাতেও পানি ঢুকেছে।
পানি জমে যাওয়ার বিষয়ে কথা হয় ২৩ ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদের সঙ্গে। তিনি সুপ্রভাতকে জানান, ‘অনেক নালায় ময়লা আবর্জনা জমে আছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে সিডিএ। এখানে আমাদের কিছূ করার নেই। মাসখানেক আগে আমরা প্যানেল মেয়রে গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে সিডিএ’র কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছি বর্ষার আগেই যেন নালাগুলো পরিষ্কার করে দেয়া হয়। উনাদের হয়তো তা সম্ভব হয়নি।’