নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
সাগর পথে ট্রলারে করে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে মহেশখালীর সোনাদিয়ায় উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। তাদের অনেকের বিয়ে ঠিক হয়েছে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত রোহিঙ্গা যুবকদের সঙ্গে। বিয়ের প্রলোভনে তারা বাংলাদেশ ছেড়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এছাড়া অনেক নারীর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। তাই এবার বাংলাদেশ থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার জন্য দালালদের মাধ্যমে চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু দালালরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সোনাদিয়া দ্বীপে নামিয়ে পালিয়ে যায়।
গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত নারী-পুরুষসহ ১৪৯ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৭৫ জন নারী, ৫১ জন পুরুষ ও ২৩ জন শিশু রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নাছিমা আকতার (১৮) বলেন, মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত এক রোহিঙ্গা যুবকের সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আমার পাসপোর্ট করার কোনো সুযোগ না থাকায় স্বামী সাগর পথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্রথম দফায় দালালদের ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি।
বালুখালী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নারী খদিজা বেগম বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে ১০ বছর আগে, কিন্তু গত সাত বছর ধরে স্বামী মালয়েশিয়ায় থাকেন। আট বছরের এক মেয়েকে নিয়ে মালয়েশিয়া নেওয়ার চেষ্টা করেন আমার স্বামী। এক ট্রলার দুর্ঘটনায় আমি প্রাণে বাঁচলেও আমার মেয়েটিকে বাঁচাতে পারিনি। তার সঙ্গে এক ননদকেও হারিয়েছি আমি।
এভাবে আটককৃত ক’জন নারী তাদের আর্তনাদ ও দুর্দশার কথা ব্যক্ত করেন।