সুপ্রভাত ডেস্ক :
বিশ্বে প্রতি ৯ জনের মধ্যে প্রায় ১ জন ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ছে। করোনা মহামারির কারণে এ বছর ইতোমধ্যে পরিস্থিতি আরো মারাত্মক হচ্ছে। সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘ রিপোর্টে এ কথা বলা হয়।
অর্থনৈতিক মন্দা এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিপর্যয় আরো বেশী লোককে ক্ষুধার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনেকের জন্য পুষ্টিকর খাবার সংগ্রহ অনেক ব্যয়বহুল, শুধু অপুষ্টিই নয়, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে স্থুলতাও বাড়ছে।
বিশ্বে স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি এন্ড নিউট্রেশন শীর্ষক বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়, “কয়েক দশকে ধীরে ধীরে ক্ষুধার্তের সংখ্যা কমে আসার পরে ২০১৪ সাল থেকে আবার তা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে।”
রিপোর্টে বলা হয়, কেবল পর্যাপ্ত খাবরের অভাবই নয়, পুষ্টিকর খাবারের অভাব এবং এগুলো স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্মত উপায়ে পাওয়া ব্যয় সাপেক্ষ।
রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৬৯ কোটি অথবা ৮.৯ শতাংশ লোক ক্ষুধার্ত। এরমধ্যে ১ কোটি বেড়েছে ২০১৯ সালে, গত ৫ বছরে বেড়েছে ৬ কোটি। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্ব থেকে দারিদ্র নিরসনের পূর্ববর্তী পরিকল্পনা সফল হবেনা।
বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ৮৯ কোটি অথবা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৯.৮ শতাংশ।
জাতিসংঘের ৫ টি এজেন্সি খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভলপমেন্ট (আইএফএডি), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সম্মিলিতভাবে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়, কোভিড ১৯ মহামারির কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে দারিদ্র বৃদ্ধি পাবে, এতে আরো ৮ কোটি ৩০ লাখ থেকে ১৩ কোটি ২০ লাখ লোক নতুন করে দরিদ্র হতে পারে।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে থেকেই বিশ্বে দারিদ্র পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিল। ২০৩০ সাল নাগাদ আফ্রিকার এক চতুর্থাংশ লোক ক্ষুধার্ত হয়ে পড়বে। বর্তমানে এই হার ১৯.১ ভাগ যা বিশ্বের গড় হিসাবের দ্বিগুণ।
এশিয়ায় ২০১৫ থেকে ক্ষুধার্তদের সংখ্যা ৮০ লাখ কমেছে, তবে বিশ্বের অপুষ্টির শিকার মানুষের অর্ধেকের বেশী এই মহাদেশে বাস করে।