সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারটি যতোই আইসিসি’র হাতে থাক, টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিষয়টি সম্পূর্ণ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কোর্টে। সাফ জানালেন মাস্টার-ব্লাস্টার। আজ তকের ‘সালাম ক্রিকেট ২০২০’ অনুষ্ঠানে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হতেই তা নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেন ব্যাটিং গ্রেট। সচিন জানান, ‘আমরা যদি টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রসঙ্গে কথা বলি তাহলে আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে এব্যাপারে। তারাই জানে কখন বিশ্বকাপ তাদের দেশে আয়োজন করা সম্ভব হবে।’ একইসঙ্গে করোনা পরবর্তী সময় বিশ্বকাপ আয়োজন ঘিরে অস্ট্রেলিয়া বোর্ডের আর্থিক বিষয় ব্যাপকভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তাই বিষয়টিকে আর গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলেছেন মাস্টার-ব্লাস্টার।
পাশাপাশি বায়ো-সিকিওর পরিবেশে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজকে স্বাগত জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একশো শতরানের মালিক। এ প্রসঙ্গে সচিন বলেন, ‘আগামী ৮ জুলাই থেকে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ শুরু হচ্ছে, আমি খুব খুশি। তার মানে চাকাটা আস্তে আস্তে ঘুরছে। যেটা খুব ইতিবাচক ইঙ্গিত।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ঘোষণায় হঠাতই আশার আলো দেখছে অক্টোবরে প্রস্তাবিত টি২০ বিশ্বকাপ। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন দেশের মাটিতে স্পোর্টিং ইভেন্ট আয়োজন করার ব্যাপারে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হবে। আর সেই নিয়মের আওতায় দেশের মাটিতে ছোট স্টেডিয়ামগুলোতে ১০ হাজার দর্শক প্রবেশ করতে পারবেন। এরপরই টি২০ বিশ্বকাপ নিয়ে প্রাথমিকভাবে জট কাটার ইঙ্গিত মিলেছে।
শুক্রবার ক্যাবিনেট বৈঠকের পর স্পোর্টিং ইভেন্টে দর্শকাসনে অনুমতি প্রদান করে স্কট মরিসন জানান, ‘এক্ষেত্রে স্পোর্টিং ভেন্যুটির পরিসর বৃহৎ হতে হবে এবং সেটিকে ওপেন এরিয়া হতে হবে। একইসঙ্গে সেখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে বসার জায়গা নির্দিষ্ট করতে হবে।’ পাশাপাশি ইভেন্টগুলোতে থাকতে হবে টিকিটের যথাযথ ব্যবস্থা। যাতে পরবর্তীতে বুঝতে অসুবিধা না হয় কারা ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন।’
১০ জুনের বৈঠকে আইসিসি সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হওয়ায় টি২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশ স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। অস্ট্রেলিয়া প্রধানমন্ত্রীর নয়া ঘোষণায় সেই সম্ভাবনাই জোরালো হয়েছে আবার।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা