সুপ্রভাত ডেস্ক »
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা পদ্ধতির ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
ঢাকা বিমানবন্দরে স্থাপন করা ছয়টি আরটি পিসিআর ল্যাবের অনুমোদন দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর ফলে বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট করিয়ে বাংলাদেশের যাত্রীদের দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহ যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকল না।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।আজ বুধবার দুপুরে ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস থেকে দেওয়া এক চিঠিতে এই সম্মতির কথা জানানো হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস থেকে চিঠিটি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ঢাকার দূতাবাস হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনার আরটি-পিসিআর ল্যাবগুলোর পরীক্ষার অনুমোদন দিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফ্লাইট চলাচল শুরু করার অনুরোধও জানানো হয়েছে চিঠিতে। চিঠিতে একমাত্র শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, যাত্রীরা যাত্রা শুরুর ৬ ঘণ্টা আগে এই ল্যাবগুলো থেকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারবেন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, অনুমোদন পাওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান হলো—গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড, স্টেমজ হেলথকেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক। ল্যাবগুলোতে জনপ্রতি পরীক্ষা ফি ১ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কারিগরি কমিটি। গত আগস্টে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার জন্য যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার শর্ত আরোপ করে দেশটি। এ কারণে ছুটিতে দেশে প্রায় ৪০ হাজার প্রবাসী কর্মস্থলে ফিরতে পারছিলেন না। দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোয় দ্রুত করোনার র্যাপিড আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগার স্থাপনের দাবিতে অনেকদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন প্রবাসীরা।