মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তার এক ভাষণের সম্পাদিত ভিডিও প্রচার করে বিবিসি এমনভাবে উপস্থাপন করেছে, যেন তিনি সমর্থকদের যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে হামলা চালাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মামলার দুটি অভিযোগের প্রতিটির জন্য ট্রাম্প ৫ বিলিয়ন ডলার করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
বিবিসি ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল হয়েছিল বলে স্বীকার করেছে এবং স্বীকার করেছে যে, ওই সম্পাদনার কারণে এমন ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে, যেন তিনি সরাসরি সহিংসতার ডাক দিয়েছিলেন। তবে সংস্থাটি বলেছে, মামলার কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
১০৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সংকটগুলোর একটির মুখে পড়ে বিবিসি জানিয়েছে, তারা তাদের কোনো প্ল্যাটফর্মে ওই তথ্যচিত্রটি আর পুনঃপ্রচার করবে না।
ট্রাম্পের আইনজীবীদের দাবি, বিবিসির কারণে তার সুনাম ও আর্থিক অবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এই তথ্যচিত্রটি যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রচার করা হয়নি।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করেছেন, কারণ ব্রিটেনে মানহানির মামলা প্রকাশের এক বছরের মধ্যে করতে হয়। তবে ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠানের এই পর্বটির ক্ষেত্রে সেই সময়সীমা ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে।
মার্কিন সংবিধানের বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সুরক্ষা অতিক্রম করতে হলে ট্রাম্পকে প্রমাণ করতে হবে যে, সম্পাদনাটি শুধু মিথ্যা ও মানহানিকরই ছিল না, বরং বিবিসি জেনেশুনে দর্শকদের বিভ্রান্ত করেছে অথবা বেপরোয়াভাবে আচরণ করেছে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, বিবিসি যুক্তি দিতে পারে যে, তথ্যচিত্রটি মোটাদাগে সত্য ছিল এবং সম্পাদনার সিদ্ধান্তগুলো কোনো মিথ্যা ধারণা তৈরি করেনি। তারা এটাও দাবি করতে পারে এতে ট্রাম্পের সুনামের ক্ষতি হয়নি।
এর আগে সিবিএস ও এবিসিসহ কয়েকটি গণমাধ্যম ট্রাম্পের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে প্রত্যাবর্তনমূলক জয়ের পর এসব মামলাগুলো করা হয়েছিল।
ট্রাম্প নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং আইওয়ার একটি পত্রিকার বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। তিনটি সংবাদমাধ্যমই কোনো অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে হামলার উদ্দেশ্য ছিল ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জো বাইডেনের জয়কে কংগ্রেসের স্বীকৃতি দেওয়া ঠেকানো।
সূত্র: সিএনএন



















































