নিজস্ব প্রতিবেদক »
বিপ্লব উদ্যানকে সবুজায়ায়নের মাধ্যমে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন নগরীর বিশিষ্টজন, নগর পরিকল্পনাবিদ ও পরিবেশ রক্ষায় আন্দোলনকর্মীরা।
গতকাল সকালে বিপ্লব উদ্যান নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা তাদের এ অভিমত তুলে ধরেন।
সিটি কর্পোরেশন কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
সভায় মতামত ব্যক্ত করেন প্রফেসর ডা. এমরান বিন ইউনুস, স্থপতি জেরিন হোসেন, প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, প্রফেসর ড. ইমরান বিন ইউনুস, স্থপতি আশিক ইমরান, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, আসমা আকতার, হাসান মারুফ রুমি, শফিক আনোয়ার, হুমায়ন কবির, হাসান মারুফ রুমি, সাংবাদিকনেতা শাহনেওয়াজ প্রমুখ।
সভার শুরুতে বিপ্লব উদ্যানের পূর্বের ও বর্তমান অবস্থান নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্থপতি আবদুল্লাহ-আল-ওমর।
প্রফেসর ডা. ইমরান বিন ইউনুস বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় ৮০ লাখ মানুষের বসবাস। এই নগরীকে সবার বাস উপযোগী করতে বিপ্লব উদ্যান নিয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া বলেন, চট্টগ্রামে কোন প্ল্যানিং ইনস্টিটিউশন নাই বলে চট্টগ্রাম নগরীতে জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সিটি কর্পোরেশনকে উড়াল সড়কে অপরিকল্পিত র্যাম্প স্থাপন না করার বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়ার অনুরোধ জানান।
স্থপতি জেরিনা হোসেন বলেন, সিটি কর্পোরেশন আইন অনুসারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্মুক্ত স্থান রক্ষায় দায়িত্ব নেয়ার কথা থাকলেও বিপ্লব উদ্যানের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ উদ্যানের বাণিজ্যিকীকরণ হয়ে গেছে। নাগরিকদের স্বার্থে বিপ্লব উদ্যানকে আবারো নাগরিকদের উদ্যান হিসেবে ফিরিয়ে আনতে হবে।
স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, নগরীর সৌন্দর্য্যরক্ষার স্বার্থে আমাদের বক্তব্য হলো অবিলম্বে বিপ্লব উদ্যান থেকে অননুমোদিত দোকান স্থাপনা সরিয়ে গাছপালা লাগিয়ে সবুজায়নের ব্যবস্থা করা।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা বলেন, এই উদ্যানে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের স্মৃতি বিজড়িত অনেক স্মৃতি ছিল। বিপ্লব উদ্যানের পূর্বের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক জাহিদুল করিম কচি বলেন, বিপ্লব উদ্যানকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণার স্মৃতি রক্ষায় সিটি কর্পোরেশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা অধিকার রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক আসমা আকতার বলেন, আইন অনুযায়ী একটি উদ্যানে ২-৫ শতাংশের বেশি কংক্রিটের স্থাপনা রাখার সুযোগ নেই। কিন্তু বিপ্লব উদ্যানে এর চাইতে অনেক বেশি কংক্রিটের স্থাপনা বর্তমানে আছে।
