বাসস:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আত্মসামাজিক উন্নয়নের ধারা আরো গতিশীল করতে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পাশাপাশি বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিশেষ করে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে আরো পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ এখানে বেজার গভর্নিং বডির ৭ম ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এই আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা দেশের সামাজিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা আরো গতিশীল করতে চাকরির পেছনে ছোটার পরিবর্তে বিনিয়োগ করতে (একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন) ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিশেষ করে যুবসমাজকে উৎসাহিত করতে কাজ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী আবাদী জমি এবং পরিবেশ রক্ষা করে চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতে স্থানীয় বিনিয়োগ ও বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে শিল্পায়নের পাশাপাশি কৃষি উন্নয়নের জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিও অনুরূপ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে যোগ দেন। গভর্নিং বডির অন্যান্য সদস্যগণ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সচিবালয় থেকে সংযুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন সন্দেহ নেই, আমাদের অর্থনীতি কৃষির ওপর নিভর্রশীল। তবে, আমাদেরকে আরো শিল্পায়নের প্রয়োজন। শিল্পায়ন ছাড়া কোন দেশের অগ্রগতি হতে পারে না।
তিনি দেশের ভূমির পরিমান কমে আসা সত্ত্বেও বিপুল জনগোষ্ঠির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আবাদি জমি রক্ষায় প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
বেজার সবোর্চ্চ নীতিনির্ধারনী গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা শিল্পায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের নিদের্শ দিয়ে বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে ডেল্টা প্লানও গ্রহন করেছে।
তিনি বলেন, আমরা আবাদী জমি এবং পরিবেশ রক্ষায় একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ এলাকা নির্বাচিত করেছি। তিনি বলেন, সরকার দেশে কর্মসংস্থান এবং দেশবাসীর ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বিশেষ করে রফতানি বৃদ্ধি করতে সারাদেশে পরিকল্পিত শিল্পায়ন করতে চায়।
তিনি বলেন, এ লক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকায় (কেবলমাত্র রাজধানী ও বন্দর এলাকা বাদে) বিশেষ অর্থনৈতিক জোন স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া আমরা কৃষি পণ্য কাচাঁমাল হিসাবে ব্যবহার করতে একটি বিশেষ এলাকায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরন শিল্প স্থাপন করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারে প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন করা। এ জন্য শিল্পোন্নয়ন এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব সত্ত্বেও দেশের আত্মসামাজিক অগ্রগতি আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।