চেম্বার ও বিডা’র ওয়েবিনার
বাংলাদেশে ইজ অব ডুয়িং বিজনেস এর বিভিন্ন সূচক নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক ১ মে থেকে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করবে। এই সমীক্ষার প্রাক্কালে বাংলাদেশে ব্যবসা সহজীকরণ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক ইতোমধ্যে গৃহীত ও চলমান সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে স্টেকহোল্ডারদেরকে অবহিত করার লক্ষ্যে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর যৌথ উদ্যোগে এক ওয়েবিনার ২৮ এপ্রিল সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে এ ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিডা’র নির্বাহী সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন, চিটাগাং চেম্বার পরিচালকবৃন্দ এস. এম. আবু তৈয়ব, অঞ্জন শেখর দাশ, এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী , সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, চেম্বারের প্রাক্তন পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ও আফসার হাসান চৌধুরী (জসিম), বিকেএমইএ’র প্রাক্তন পরিচালক শওকত ওসমান, উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশন’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী মিজান ও মেটকো গ্রুপ’র এমডি নেসার আহমেদ। ইজ অব ডুয়িং বিজনেস বিষয়ে সংস্কার কর্মকান্ডের উপর তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বিডা’র পরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রায়। এতে অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, বিডা’র মহাপরিচালক-৫ মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রামস্থ বিডা’র পরিচালক মো. ইয়াছিন, বিএসআরএম গ্রুপ’র প্রতিনিধি মনির হোসেন, শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথি বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত জরিপে ব্যবসা সহজীকরণ সূচক বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব ইমেজ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, ব্যবসা সহজীকরণ বিষয়টি দু’টি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রথমত ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের নির্ধারিত দৃষ্টিভঙ্গি যা নির্ধারণ করা হয় প্রতিটি সূচকের বিপরীতে নির্ধারিত ছোট আকারের কেইস এ্যাজাম্পশন’র ভিত্তিতে এবং দ্বিতীয়ত দেশের ব্যবসা সহজীকরণের বাস্তব প্রত্যাশা ও চিত্র যেটি নিয়ে প্রচুর কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিডা এ পর্যন্ত তার অধীনস্থ ১০টি সূচকের মধ্যে ৮টি সূচকে বিভিন্ন ধরণের সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দু’টি কমিটি সার্বক্ষণিকভাবে ব্যবসা সহজীকরণের উপর কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে। এতে করে বিশ্ব ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমেটে বাংলাদেশ ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে অগ্রগতি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্বাহী চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কর্তৃক গৃহীত সংস্কার ও নির্ধারিত কেইস এ্যাজাম্পশন সম্পর্কে যথাযথ অবহিত হয়ে বিশ্ব ব্যাংক পরিচালিত আসন্ন জরিপে তা প্রতিফলনের অনুরোধ জানান।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, মাঠ পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা চিহ্নিত করা খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক একাউন্ট খোলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয় তা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু চট্টগ্রামে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের উন্নয়ন অপরিহার্য। তিনি ওয়ান স্টপ সার্ভিস যথাযথ বাস্তবায়নসহ বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বিডা’র ক্ষমতায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। চেম্বার সভাপতি ৬০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যবসা সহজীকরণ সূচক ডাবল ডিজিটে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
অন্যান্য বক্তারা চট্টগ্রামে ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের উন্নয়ন, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় স্থাপন, বিভিন্ন সেক্টরভিত্তিক সমীক্ষা পরিচালনা করে সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও তা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান স্পষ্টীকরণ, চট্টগ্রামকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানীতে রূপান্তর, জাপানী বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় জাপানী ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলে ধরেন। বিজ্ঞপ্তি