সুপ্রভাত ডেস্ক »
বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে প্রশিক্ষণ চলার সময় ওয়াই এ কে ১৩০ যুদ্ধবিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
কর্ণফুলী নদীতে বিমানটির খোঁজে নামে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর ম্যানুয়াল দুই পদ্ধতি ব্যবহার করেই খোঁজা হয় বিমানটি।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নদীর তলদেশে বিমানটি শনাক্ত করা হয়। অত্যাধুনিক সোনার জাহাজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয় বিমানটি।
বঙ্গোপসাগর আর কর্ণফুলী নদীর মোহনা হওয়ায় নদীর তলদেশ খুব গভীর। এজন্য বেশ বেগ পেতে হয় নৌবাহিনীকে।
দুর্ঘটনার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ বলবানের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদী থেকে টেনে তোলা হয় প্রশিক্ষণ বিমানটি।
উদ্ধারের পর দেখা যায় দুমড়ে-মুচড়ে গেছে বিমানটি। তবে সবচেয়ে বেশি বিধ্বস্ত হয়েছে সামনের অংশ। আগুনে পুড়ে যায় ককপিট।
বৃহস্পতিবার সকালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আকাশে উড্ডয়ন অবস্থায় আগুন লেগে যায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান ওয়াই এ কে ১৩০ এ। প্রচণ্ড গতিতে চোখের পলকে সেটি পড়ে যায় কর্ণফুলী নদীতে। সেসময় বিমানটিতে থাকা দুই পাইলট প্যারাসুট দিয়ে লাফিয়ে পড়েন নদীতে।
ঘটনার পর পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। যোগ দেয় নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, ডবুরি দল ও ফায়ার সার্ভিস। তবে তার আগেই মাঝি মাল্লারা ২ পাইলটকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার অসীম হাসপাতালে নেয়া পথে মারা যান। আর উইং কমান্ডার সোহানকে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।