মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, মধ্যযুগীয় বর্বরতার কলংককেও হার মানিয়েছে ৩ নভেম্বরে জাতীয় চার নেতাকে জেলে হত্যাকা-ের ঘটনাটি। এই ঘটনার মূল খলনায়ক জিয়াউর রহমান। এখন তার মরণোত্তর বিচার হলে জাতীয় চার নেতার আত্মা শান্তি পাবে। তিনি শুক্রবার সকালে জেল হত্যা দিবস পালনোপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবস্থ বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামাত ও তাদের মিত্রদের রাজপথে মোকাবেলার শক্তি নিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি। চট্টগ্রাম বিপ্লবীদের চারণক্ষেত্র এবং বার আউলিয়ার পূণ্য ভূমি। এই পবিত্র ভূমিতে অসভ্য বর্বর রাজাকার আলবদরদের ঠাঁই নেই।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। তাঁর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই কোথাও আলবদর, রাজাকার এবং পাকিস্তানী প্রেতাত্মাদের চিহ্ন রাখবো না। আমরা এম.এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, আতাউর রহমান খান কায়সার, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, এম. এ মান্নান, এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর উত্তরসূরী। আমরা তাদের কাছ থেকেই দীক্ষা নিয়েছি আন্দোলন, লড়াই ও সংগ্রামের।এই তিনটি বিষয় আমাদের কাছে পবিত্র। এর পবিত্রতা আমরা যেকোন মূল্যে রক্ষা করবোই। আজ যারা আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদেরকে রুখবোই। যেকোনো মূল্যে তাদের নিশ্চিহ্ন করতে একাত্তরের হাতিয়ার হাতে তুলে নিতে প্রস্তুত আছি।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, নির্বাহী সদস্য ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, থানা আওয়ামী লীগের সিদ্দিক আলম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাজী নুরুল আমিন, ফারুক আহমেদ, হাজী মো. হাসান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, সুনীল কুমার সরকার, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এ. কে.এম. বেলায়েত হোসেন, সফর আলী, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক চৌধুরী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদকম-লীর সদস্য শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসনে, মো. আবু তাহের, শহীদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, বখতেয়ার উদ্দীন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, কামরুল হাসান বুলু, হাজী রোটারিয়ার মো. ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমদ। এছাড়া ১৫টি থানা ও ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি