সুপ্রভাত ডেস্ক »
সংগঠনের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদারের নেতৃত্বেই আফগানিস্তানে সরকার গড়তে চলেছে তালেবান । অন্যদিকে, তালেবান প্রধান হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা ইরানের আয়াতুল্লা খামেইনির মতো ‘সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু’র আসনে বসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তিনিই সংবিধান বহির্ভূত রাষ্ট্রক্ষমতার উৎস হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তান তালেবান শাসিত আফগানিস্তানেরই নতুন নাম। প্রথম দফার তালিবান সরকারেরও এই নাম ছিল। গত ১৫ অগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের পরেই দেশের নাম বদল করেছেন তালেবান নেতৃত্ব। তালেবান সংগঠনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, নয়া সরকারের নেতৃত্বে দেবেন ‘আমির-উল-মোমিনিন’। সেই আমির পদে দেখা যেতে পারে বারাদারকে।
নব্বইয়ের দশকে তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ‘ডান হাত’ ছিলেন বারাদার। ওমরের উত্তরসূরি হিসেবেও তাঁর নাম আলোচনায় ছিল। কিন্তু ২০১০ সালে পাকিস্তানের করাচিতে গ্রেফতারও হন বরাদর। ২০১৫-য় আমেরিকার বিমানহানায় ওমরের মৃত্যুর পর তালেবানের নেতা হন আখতার মনসুর। ২০১৬ সালে মনসুরও ড্রোন হামলায় মারা যান। তালেবানের নেতা হন আখুন্দজাদা।
তালেবানের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তালেবানের তিনটি সূত্র রয়টার্সকে আরও দুই তালেবান নেতার নাম জানিয়েছে। তাঁরা হলেন, মোল্লা মোহাম্মাদ ইয়াকুব ও শের আব্বাস স্ট্যানেকজাই। তাঁরা সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
মোল্লা ইয়াকুব তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে। তিনি বর্তমানে তালেবানের সামরিক শাখার দায়িত্বে আছেন। অপরদিকে শের আব্বাস স্ট্যানেকজাই কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।