বাবা আমার পথের দিশা
উৎপলকান্তি বড়ুয়া
মাথার ওপর বাবা আকাশ নীলচে সামিয়ানা
ভালোবাসার রূপে রঙিন ডানা
জোছনা রাতে লক্ষ তারা-চাঁদ
বাবা আমার নির্ভাবনা হাসি খুশির ছাদ।
দেখান আমায় পথের দিশা
যায় কেটে ভয় অমানিশা
হাত ধরে দেন এগিয়ে, বলেন-‘চল এগিয়ে চল’
বাবা আমার সকল সাহস বল।
ভোরের সূর্য পুবের রবি
সাতরঙা রামধনুর ছবি
বয়ে চলা জলের নদী ঢেউ
আমার বাবা প্রিয় বাবা তার মতো নয় কেউ।
আমায় নিয়ে ভাবনা-চিন্তা সব
মন জুড়ে রঙ রাঙানো উৎসব
বুক জুড়ে প্রাণ জুড়ে পরম আদর স্নেহ মায়া
আমার বাবা বিশাল বটবৃক্ষ শীতল ছায়া।
বাবার ছবি
সুব্রত চৌধুরী
বাবা থাকেন মেঘের বাড়ি
বদ্ধ দুটো আগল,
বাবার কথা ভেবে খোকার
বাজে শোকের মাদল।
বাবার ছবি আঁকতে গিয়ে
হয় না আঁকা ছবি,
হাত গুটিয়ে বসে খোকা
ইজেল তুলি সবই।
বাবার মায়া আদর ছায়া
সোহাগ মাখা শাসন,
আছে খোকার মানসপটে
খোদাই বাবার আসন।
তাইতো বাবার ছবি খোকার
হয় না আঁকা রোজ,
দূরাকাশে তাকায় খোকা
পায় না বাবার খোঁজ।
আমার বাবা
নকুল শর্ম্মা
আমার বাবা পুরুষসিংহ
জগৎ সভায় সেরা,
আমার বাবা আস্ত বটগাছ
ছায়া দিয়ে ঘেরা।
আমার বাবা বিশাল আকাশ
রংধনু রঙ মাখা,
আমার বাবা মাথার ওপর
দুঃখ দূরের পাখা।
আমার বাবা শীতল বাতাস
তপ্ত দুপুরবেলা,
আমার বাবা মাঠের বুকে
সবুজ ঘাসের মেলা।
আমার বাবা শান্ত নদীর
স্বচ্ছ ফটিকজল,
আমার বাবা আমার কাছে
চির সমুজ্জ্বল।
বাবার কাছে চিঠি
কাব্য কবির
আমায় ফাঁকি দিয়ে বাবা কোথায় তুমি গেলে
আর না ফিরে এলে।
টুকটুকে লাল জামা তুমি দিতে আমায় কিনে,
একটা দিনও ভাল্লাগে না বাবা তোমায় বিনে।
রাতের বেলা তোমার কথা মনে পড়ে রোজ,
মায়ের কাছে সব সময়ই নিই যে তোমার খোঁজ।
তোমার জন্য হন্যে হয়ে কাঁদি আমি যখন,
মা যে বুঝায় তখন
তোর বাবা ঐ নীল আকাশের বুকে
আছে অনেক সুখে।
সেদিন থেকে আকাশপানে আমি চেয়ে থাকি,
বাবা বলে ডাকি।
কবুতরকে বন্ধু ডাকি বলি তাকে প্রিয়
আমার লেখা রঙিন চিঠি বাবার কাছে দিও।