সুপ্রভাত ডেস্ক »
“আজ ঢালাই, কালই ব্যবহার”–এমন দ্রুত ও শক্তিশালী নির্মাণ বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাজারে এসেছে দেশের প্রথম এফসিআর (FCR Expert) সিমেন্ট—ডায়মন্ড এক্সট্রা পাওয়ার। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সিমেন্ট কোম্পানী ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের প্রত্যাশা, নতুন এই ব্র্যান্ড বাংলাদেশের নির্মাণশিল্পে যোগ করবে নতুন শক্তি ও মান।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম শহরের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানে নতুন এই ব্র্যান্ডের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উন্মোচন করেন, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের চট্টগ্রাম সেন্টারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মানজারে খোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী অচিত্য কুমার চক্রবর্তী এবং ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) লায়ন হাকিম আলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডায়মন্ড সিমেন্টে পরিচালক খালেদা বেগম ও পরিচালক আবদুল্লাহ আল ফারহাদ এবং ফরচুন নেভিগেশনের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন ও ডিসিএল ব্লকের ম্যানেজিং পার্টনার আব্দুল্লাহ আল জুনায়েদ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমান বিশ্বের জনপ্রিয় র্যাপিড হার্ডেনিং (Rapid Hardening) ক্যাটাগরির এই সিমেন্ট দ্রুত শক্তি অর্জনের মাধ্যমে নির্মাণে সময় ও শ্রম বাঁচায় এবং স্থাপনার দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। বিশেষভাবে ফাউন্ডেশন, কলাম ও ছাদের ঢালাইয়ে এটি সবচেয়ে উপযোগী ও টেকসই।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাবেক উপাচার্য এবং চুয়েট এর ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম অনলাইনে যুক্ত হয়ে দেয়া বক্তব্যে বলেন, “র্যাপিড হার্ডেনিং সিমেন্ট- তিনদিনে যে স্ট্রেংথ পায় সাধারণ সিমেন্টের সেই স্ট্রেংথ পেতে সাতদিন লাগে। নতুন এই ব্র্যান্ডের সিমেন্টে ৩৫০০ পিএসআই স্ট্রেংথ আসবে তিনদিনে। এতে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করা যাবে।”
সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের ঘটনা উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “এখন আমাদের সব ভবনের অ্যাসেসমেন্ট শেষে ‘শক্তি বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প নিতে হবে। যেসব ভবনের শক্তি বৃদ্ধি করা যাবে না, সেগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। এটা সরকার একা পারবে না, সবার দায়িত্ব আছে।”
“চট্টগ্রামে প্রায় আড়াই লাখ ভবন ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে। এত ভবন অ্যাসেসমেন্ট ও সেগুলোর শক্তি বৃদ্ধি কে করবে? এরমধ্যে প্রচুর ব্যক্তিগত ভবন আছে। সরকারিভাবে যদি জিরো পারসেন্ট ব্যাংক ইন্টারেস্টে অর্থায়ন করা যায় তাহলে হতে পারে।”
শেষ উপস্থাপনায়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)–এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জি. এম. সাদিকুল ইসলাম ‘ডায়মন্ড এক্সট্রা পাওয়ার’ সিমেন্ট বিষয়ে বলেন, “এই সিমেন্ট দ্রুত জমাট বাঁধে ও শক্তি সঞ্চয় করে। প্রিকাস্ট স্ল্যাব, গার্ডার, কলাম, পাইলিং, রেলওয়ে স্লিপার এবং মেরামত কাজের জন্য এটি খুবই উপযোগী।
“সম্প্রতি ভূমিকম্পে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যেসব ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য এই সিমেন্ট কার্যকর হবে।
ডায়মন্ড সিমেন্টের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন হাকিম আলী বলেন,“আমরা চাই বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় দ্রুত নির্মাণ, অধিক শক্তি ও টেকসই অবকাঠামো নিশ্চিত করতে। দ্রুত নির্মাণ, অধিক শক্তি অর্জন এবং টেকসই অবকাঠামো নির্মাণে আমাদের নতুন ব্র্যান্ড । আমরা চাই, বাংলাদেশ আরও দ্রুত এগিয়ে যাক, স্থাপনায় আসুক বিশ্বমানের শক্তি ও স্থায়িত্ব।”
বিশেষ অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন—স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দ্রুত নির্মাণ সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডায়মন্ড সিমেন্টের এই উদ্ভাবনী উদ্যোগ দেশের উন্নয়নযাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত করবে। খুলে দেবে নতুন সম্ভাবনার দ্বার ।
অনুষ্ঠানে, উৎপাদন, মান ও বিপননসহ নতুন পণ্যের নানদিক তুলে ধরেন ডায়মন্ড সিমেন্টের পরিচালক এবিএম কামাল উদ্দিন ও মো. গোলাম মোস্তফা, মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুর রহিম ও মো. আরিফুল ইসলাম এবং সিনিয়র ম্যানেজার প্রকৌশলী ইশতিয়াক রায়হান মাহমুদ।



















































