বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির মাসসেরা নাহিদা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ পুরস্কার জিতলেন নাহিদা। সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার ফারজানা হক পিঙ্কি ও পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল।

ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বল হাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নাহিদা আক্তার। দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি পেলেন তিনি। নারী বিভাগে আইসিসির নভেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ২৩ বছর বয়সী বাঁহাতি এই স্পিনার।

বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ পুরস্কার জিতলেন তিনি। সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার ফারজানা হক পিঙ্কি ও পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল।

এই পুরস্কারে ছেলেদের বিভাগে মাসসেরা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সের সৌজন্যে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তাকে। সেরার দৌড়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন স্বদেশি অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামিকে।

বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে মাসসেরা হওয়া নাহিদা চলতি বছরের শুরু থেকেই বল হাতে দারুণ ধারাবাহিক। অক্টোবরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্বার ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের রেকর্ড ৮ রানে ৫ উইকেটসহ তিন ম্যাচে ৮ শিকার করেন তিনি।

ওয়ানডে সিরিজেও চলে তার স্পিন ভেল্কি। প্রথম ও তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩টি করে উইকেট নেন নাহিদা। মাঝে দ্বিতীয় ম্যাচে কঠিন পরীক্ষা জিতে দলের মুখে হাসি ফোটান অভিজ্ঞ এই স্পিনার। ম্যাচ টাই হলে সুপার ওভারে তার হাতে বল তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ৭ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে দলকে জেতান তিনি। তিন ম্যাচে সাত উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হন নাহিদা।’

বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে মাসসেরা হওয়ায় উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন তিনি। আইসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি নাহিদা বলেছেন, ‘মুহূর্তটা দীর্ঘদিন মনে রাখার মতো। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের বিশেষ এই প্যানেলের কাছ থেকে এমন স্বীকৃতি পাওয়া আমার জন্য অনেক বড় কিছু। আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ পুরস্কার আমার জন্য অনেক বড় প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’

দলের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান সহ-অধিনায়ক নাহিদা, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দারুণ ক্রিকেট খেলেছি। দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পেরে আমি খুব খুশি। আমার ওপর সব সময় বিশ্বাস রাখায় অধিনায়ক, কোচ ও সতীর্থদের ধন্যবাদ প্রাপ্য। তারা আস্থা রাখার ফলে আমি শক্ত দলের বিপক্ষে, চাপের মুখে নিজের সহজাত খেলা খেলতে পেরেছি।’