সংবাদদাতা, বাঁশখালী :
চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম-১৬ আসনের বাঁশখালী উপজেলার সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ পরিবারের ১১ সদস্যসহ কোভিড-১৯ (করোনা) আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত অন্যান্যরা হচ্ছেন তাঁর স্ত্রী, তিন মেয়ে, এক নাতনি, এক মেয়ের জামাই, এমপি’র এপিএস (ব্যক্তিগত একানত্ম সহকারী) একেএম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল ও বাসার ৩ কাজের মেয়ে । প্রত্যেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছে।
এমপি’র এপিএস (ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী) একেএম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল বলেন, সবার শারীরিক অসুস’তা দেখা দিলে গত ১ জুন এমপি’র শহরের বাসায় পরিবারের ১৬ জনের করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিআইটিআইডি’র নমুনা পরীক্ষায় পরিবারের মোট ১১ জনের করোনা পজেটিভ আসে। বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের নির্দেশনা অনুসারে এমপি স্যার ও আক্রানত্ম সবাই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমপি স্যারসহ সবাই সুস’ আছেন।
স্থানীয় প্রশাসন, দলীয় নেতা-কর্মী ও এলাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার খবরের পর থেকে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী একবারের জন্যও বাঁশখালীতে কোন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে আসেননি। এমনকি সরকার গত ২৫ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে তিনি তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালকদেরও ছুটি দিয়ে রেখেছিলেন। তিনি ডায়বেটিস রোগে অসুস্থ থাকার কারণে নেতা-কর্মীদের অনুরোধে বাধার মুখে তিনি ঈদ উদযাপন করেন চট্টগ্রাম মহানগরীর বাসায়। বাসায়ও সব সময় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতেন। বাঁশখালীতে তার পক্ষে নেতা কর্মীরা করোনায় হতদরিদ্র পরিবারে ত্রাণ বিতরণ করেছিল। চট্টগ্রাম মহানগরীর বাসায় বসে ফোনে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। তারপরও পরিবারের ১১ সদস্যসহ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় নেতা-কর্মীরা নেতার সুস্থতায় বাঁশখালী জুড়ে বিভিন্নস্থানে দোয়া ও মুনাজাত করছেন।