নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী »
মায়ানমার থেকে বাঁশখালী হয়ে ভারতে পাচারের সময় বিলুপ্ত প্রজাতির ৪টি রাজ ধনেশ পাখি বাঁশখালী থানা পুলিশ উদ্ধার এবং ২ পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় বাঁশখালী থানা কার্যালয়ের সামনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহামুদুল হাসান বন্যপ্রাণী পাচার আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাচারকারী ২জনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। উদ্ধার ধনেশ পাখিগুলো বনবিভাগের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ফয়’স লেক চিড়িয়াখানায় প্রেরণ করা হয়।
পাচারকারীরা জানিয়েছেন, রাজ ধনেশ পাখির তেল ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। সেজন্য পাখি বিদেশে পাচার করা হয়। এই ৪টি পাখির মূল্য ৮ লাখ টাকা।
পাচারকারীরা হচ্ছে বাগেরহাট জেলার সরনখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পূর্ব খোন্তাকাটা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে মো. মিজানুর রহমান এবং কক্সবাজার
জেলার চকরিয়া উপজেলার দীঘার পানখালী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. সেলিম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. কামরুল ইসলাম, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন, বন্যপ্রাণী ও অভয়ারণ্য রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার, পুলিশ পরিদর্শক মো. সোলাইমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাখি পাচারের খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. কামরুল ইসলাম ও বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বাঁশখালী প্রধান সড়কের শীলকূপ থেকে আনোয়ারা উপজেলার তৈলারদ্বীপ পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পুলিশের ২৫ জনের একটি দল অভিযান চালিয়ে পাখি উদ্ধার এবং ২ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। বিলুপ্ত দামি রাজ ধনেশ পাখি ৪টির আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ টাকা বলে পাচারকারীরা দাবি করেন।
পাচারকারীরা আরও স্বীকার করেছেন এর আগেও ওরা সাতক্ষীরা এলাকায় একই কায়দায় ২০/২৫টি ধনেশ পাখি পাচার করেছিল। আন্তর্জাতিক পাচারকারীরা তা বিদেশে পাচার করে। তবে এই ৪টি ধনেশ পাখি মায়ানমার হয়ে বান্দরবানের আলীকদম আনা হয়। ওখান থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত নিয়ে যেতে প্রকৃত পাচারকারীদের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া এবং ৭ হাজার টাকা মজুরি পাবার চুক্তিতে তারা পাচার করছিল।