সংবাদদাতা, বাঁশখালী :
বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে প্রকাশ্যে অস্ত্র পরিচালনাকারী আলোচিত সন্ত্রাসী মো. শের আলী (৪৩) র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোর রাতে সরল ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকার বেড়িবাঁধের ওপর এ ঘটনা ঘটে। তার কাছ থেকে ২টি শুটার গান, ১টি এক নলা বন্দুক, ১টি ছেনা ও ১৭ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্রআইনসহ অন্তত ৮টি মামলা রয়েছে। এছাড়া ৩টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। নিহত শের আলী দক্ষিণ সরল গ্রামের হাজীরখীল গ্রামের হাসন আহমদের পুত্র।
গ্রামবাসী জানান, গত বছর ১২টি অস্ত্রের মহড়া দিয়ে জাফর গ্রুপ ও শের আলী গ্রুপ এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত করে। তাদের প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া গ্রামবাসী ভিডিও ভাইরালও করেছিল। ওই ভিডিও ভাইরালের পর পর র্যাব-৭ অভিযান চালালে জাফর গ্রুপের জাফর আলম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এরপর শের আলী আত্মগোপনে থাকলেও একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে এলাকা তার নিয়ন্ত্রণে আনে। শের আলী গ্রুপের পিছনে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে উচ্চপদস্থ সাবেক এক কর্মকর্তার সহযোগিতা থাকার কথা এলাকায় ব্যাপক প্রচার আছে। অনেকটা শের আলী গ্রুপের নাম ওই প্রশাসনিক কর্মকর্তার নামে মৌখিকভাবে প্রচার থাকলেও মামলায় কখনও রের্কড হয়নি।
প্রসঙ্গতঃ উপকূলীয় সরল ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার একর খাস জমি রয়েছে। সমুদ্র পাড়ে এসব জমি জেগে ওঠেছে। ওই জমি দখল করে চিংড়ি ঘের ও লবণ চাষের আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিনের খুনোখুনি প্রায়ই ঘটে আসছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে জাফর ডাকাত র্যাবের বন্দুক যুদ্ধে নিহত হবার কয়েক মাস পূর্বেও জাফর ডাকাতের এক আত্মীয় মাস্টার কবির আহমদের ছেলে আবুল কালাম, শের আলী গ্রুপের গুলিতে নিহত হয়।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন,‘ র্যাবের নিয়মিত টহল দল সরলে হাজিপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধের ওপর টহল দেয়ার সময় শের আলী গ্রুপ র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। কিছুক্ষণের বন্দুকযুদ্ধ শান্ত হলে ঘটনাস্থল থেকে শের আলীর মৃত দেহ ও অস্ত্রসমূহ উদ্ধার করা হয়।’
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন,‘ নিহত শের আলী বহু মামলার দাগি আসামি। এর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্রআইনে ৩টি মামলায় ওয়ারেন্টও আছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় র্যাব বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে।’