সংবাদদাতা, বাঁশখালী :
পূর্ব শত্রম্নতার জেরে বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক যুবক খুন হয়েছে।
তিনি এলাকার নেছার আহমদের পুত্র মাওলানা মো. খালেদ বিন ওয়ালিদ (২৩) । মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরো একজন যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি আবু সালেকের পুত্র মাওলানা হাফেজ ইব্রাহিম (২২)। দুজনই পটিয়া উপজেলার এক মাদ্রাসা থেকে সম্প্রতি কামিল পাশ করেছেন। করোনা দুর্যোগের কারণে তারা নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিল।
বুধবার সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, পিপিএম ঘটনাস’ল পরিদর্শন করেন। খুনিদের দ গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইলশা গ্রামে নুরম্নল আবছারের মদিনা ব্রিক ফিল্ড ও দিদারম্নল আলম ঝুন্টুর এমবিএম ব্রিক ফিল্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধওে গোলাগুলি ও রক্তড়্গয়ী সংর্ঘষ চলে আসছিল। উভয়পড়্গে গত ৩ বছরে অনন্ত ১২ বার রক্তড়্গয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল। এই নিয়ে উভয়পক্ষে ১২/১৩টি করে মামলাও আছে। বেশ কয়েকবার পুলিশ অস্ত্রও উদ্ধার করেছিল।
পুরো বাঁশখালীর মানুষের কাছে এটা সন্ত্রাসী জোন হিসেবে বেশ পরিচিত। এই নিয়ে সম্প্রতি পুলিশের উপসি’তিতে দুই গ্রম্নপে বৈঠক করে মীমাংসাও করে দেয়া হয়। গত মঙ্গলবার রাতে দিদারম্নল আলম ঝুন্টু বাড়ির পাশে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়ে ঘুরছিলেন। এই অবস্থায় কতিপয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে তিনি পালিয়ে প্রাণ রক্ষা পান।
সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলি মাওলানা মো. খালেদ বিন ওয়ালিদ এবং মাওলানা হাফেজ ইব্রাহিমের শরীরে বিদ্ধ হয়। সন্ত্রাসীরা ১০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে।
স্থানীয়রা আহত দুইজনকে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত ডাক্তার মো. খালিদকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত ইব্রাহিমকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এমবিএম ব্রিক ফিল্ডের মালিক দিদারুল আলম ঝুন্টু বলেন, আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও আমার মামাত ভাই খুন ও আহত হয়েছে।
মদিনা ব্রিক ফিল্ডের মালিক নুরম্নল আবছার বলেন, ‘ ঝুন্টু ভাইয়ের সাথে বিরোধ আছে ঠিক। তা মীমাংসা হয়ে গেছে। আমার কোন লোক এই হত্যাকা- ঘটায়নি।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘পূর্ব শত্রম্নতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তারপরও পুলিশ খুনিদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।’