নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘ইংরেজি বর্ষ বিদায় ও ২০২১ বরণ উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন স্থানে নানাবিধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। নববর্ষ উদযাপনকালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির যে কোন ধরনের আশঙ্কা রোধকলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) বদ্ধপরিকর। সকল অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে শেষ করার লক্ষ্যে সিএমপি পুলিশ কর্তৃক পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন, গির্জা, হোটেল, ক্লাব, বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন, টহল জোরদার, ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
গতকাল বুধবার বেলা ১২টায় সিএমপি কমিশনারে কার্যালয়ে ইংরেজি বর্ষবরণ উদযাপনে নগরবাসীর করণীয় ও সিএমপি পুলিশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর পিপিএম এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নগরীর সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে নাগরিকদের নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ করার অনুরোধ করা হলো। ‘রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ ও প্রকাশ্য স্থানে কোন ধরনের জমায়েত না করা, থার্টি-ফাস্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজিত সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসমূহে করোনা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনাসমূহ ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, উন্মুক্ত স্থানে কোন ধরনের অনুষ্ঠান বা সমাবেশ না করা, ভবনের ছাদ কিংবা কোথাও কোন ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পর পতেঙ্গা ও পারকি বিচে অবস্থান করা যাবে না, একইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সকল লাইসেন্সকৃত বার ও মদের দোকান খোলা যাবে না, উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ন ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক চালানো যাবে না, আনন্দ উদযাপনে শালীনতা ও সৌহার্দ্য বজায় রাখা, মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকা, সকল অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা, হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোন স্পেস বা কক্ষ ভাড়া না দেওয়া, জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এমন কর্মকাণ্ড পরিহার, আজ রাত ১০টার পর সকল ফাস্ট ফুডের দোকানসহ মার্কেট বন্ধ রাখা এবং সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে। সিএমপি উপযুক্ত নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, যে কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা-দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক সিএমপি পুলিশ কন্ট্রোল রুম ফোন নম্বর ০৩১-৬৩৯০২২, ০৩১-৬৩০৩৫২, ০৩১-৬৩০৩৭৫, ০১৬৭৬-১২৩৪৫৬, ০১৩২০-০৪৭৯৯৮ এবং ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ নম্বরে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
যেকোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সাহায্য গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।