চট্টগ্রামের বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নির্মাণের উদ্যোগ অবশেষে আলোর মুখ দেখছে। নগরীর চট্টেশ্বরী সড়কের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের প্রধান ছাত্রাবাসের উত্তর পাশের গোয়াছি বাগান নামে পরিচিত জমিটিকে চূড়ান্ত করা হয়েছে এই ইউনিট নির্মাণের জন্য।
উপযুক্ত জমি না পাওয়ায় দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ঝুলে ছিল বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণ উদ্যোগ। চট্টগ্রাম বিভাগের ৯টি জেলার প্রায় ৪ কোটি মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে এই বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট।
বিশেষায়িত দেড়শ শয্যার বার্ন ইউনিটে থাকবে ১০টি আইসিইউ, শিশুদের জন্য ৫টিসহ মোট ২৫টি এইচডিইউ এবং অত্যাধুনিক দুটি অপারেশন থিয়েটার। জরুরি বিভাগের পাশাপাশি বহির্বিভাগও থাকবে। প্রাথমিকভাবে ৬ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। ভবনের প্রতি ফ্লোরে স্পেস থাকবে ১৬ হাজার বর্গফুট। বার্ন ইউনিটের ৬ তলা এই ভবনের পাশাপাশি ইক্যুইপমেন্ট (সরঞ্জাম) স্থাপনের জন্য একতলা বিশিষ্ট আলাদা আরেকটি ভবন নির্মাণ করা হবে। একতলা ভবনটিতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট, সাবস্টেশন ও জেনারেটরসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জাম স্থাপন করা হবে। প্রায় এক একর জায়গার উপর বিশেষায়িত এ বার্ন ইউনিট গড়ে তোলা হবে।
পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০ মিলিয়ন ইউএস ডলার (চীনা টাকায় প্রায় ১২০ মিলিয়ন ইউয়ান) ব্যয় নির্ধারণ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এর শতভাগই অনুদান সহায়তা। সম্পূর্ণ নিজেদের খরচে বিশেষায়িত এ বার্ন ইউনিট করে দেবে চীন।
এখন আসল কাজটি করতে হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। বরাদ্দ করা জায়গা দ্রুত অবৈধ দখলমুক্ত করে নির্মাণকারী চীনা কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করতে হবে। চীনা প্রতিনিধিদল জানিয়েছে, যত দ্রুত জমি বুঝিয়ে দেবে, তত দ্রুত কাজ শুরু হবে। একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতালের আদলেই চীনারা এই বিশেষায়িত ইউনিটটি গড়ে তুলতে আগ্রহী।
বরাদ্দ করা জায়গা দ্রুত অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে
বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট