ক্বণন’র ৩৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তারা
ক্বণন’র অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বচনের শুদ্ধতা মননের পরিশুদ্ধি আর সংস্কৃতি মনুষ্যত্বের উদ্বোধন ঘটায়। বাংলা ভাষার শিষ্ট ও মিষ্ট রূপটা ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করে চলেছে ক্বণন আপন মনে। ক্বণন এ কাজটা ভালোবাসা থেকেই দীর্ঘ ৩৫ বছর করে আসছে।
গতকাল শুক্রবার বিকালে ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গনের ৩৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
ক্বণনের সভাপতি আবৃত্তি শিল্পী মোসতাক খন্দকারের সভাপতিত্বে ও ক্বণন সদস্য আবৃত্তি শিল্পী সাইমুম মুরতজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাচিক শিল্পী ও প্রশিক্ষক অরুণ ভদ্র এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ডিসিপিইও মো. জসিম উদ্দীন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্বণন কার্যকরী পরিষদ সদস্য আবৃত্তি শিল্পী সৌভিক চৌধুরী, রাশেদ মুহাম্মদ ও নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফরিদা করিম। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আবৃত্তি একটি শিল্প। কবি যে অনুভব থেকে শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে কবিতা রচনা করেন, তা শ্রুতি মাধুর্যে, বাচিক শৈলিতে শ্রোতার কাছে পৌঁছে দেন আবৃত্তিশিল্পী।
আলোচনাপর্ব শেষে অতিথিরা ৭১ তম কর্মশালার শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন এবং কেক কেটে ৩৫ বছর পূর্তি উদযাপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ক্বণন সদস্যদের মধ্যে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন রাশেদ মুহাম্মদ, সৌভিক চৌধুরী, ইমরানুল হক, শরীফ মাহমুদ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, সাইমুম মুরতজা, আবসার তানিম, রুহুল্লাহ আকমল, হৈমন্তী ধর, প্রেমা চৌধুরী, হোসাইন সোহেল, সুকন্যা ঘোষ, শুভ্রা চক্রবতী, জুই বিশ্বাস, সুস্মিতা চৌধুরী।
গান পরিবেশন করে ক্বণন সদস্য শুভ্রা চক্রবর্তী ও প্রেমা চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি