সুপ্রভাত ডেস্ক »
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর – উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। বিকেল নাগাদ এটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পুরীর কাছে দিয়ে উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে এ গভীর নিম্নচাপটির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
যদিও বাংলাদেশের চারটি সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবুল কালাম মল্লিক জানান, এর ফলে চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। যা অব্যাহত থাকতে পারে আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সকালে দেয়া একটি পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজ সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিনপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৫০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পুরীর নিকট দিয়ে উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এর ফলে গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে।